নিজস্ব প্রতিনিধি: পাখির চোখে কর্মসংস্থান। আর সেই লক্ষ্য পূরণের হাতিয়ার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রের উন্নয়ন ও তার সম্প্রসারণ। কেননা গোটা দেশে এই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পেই(Small and Midium Industry) সব থেকে বেশি কর্মসংস্থান হয় এবং দেশের মধ্যে এই শিল্পের সংখ্যায় ও কর্মসংস্থান তৈরির ক্ষেত্রে প্রথম স্থানটি দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে বাংলার দখলে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) এই উন্নয়নকেই আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। সেই এগিয়ে যাওয়ার পথে শরিক হচ্ছে রাজ্যের অন্যতম শিল্পময় জেলা পশ্চিম বর্ধমানও(Paschim Burdhwan)। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই জেলাতেই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্য ছোট-ছোট এলাকা ধরে শিল্পতালুক তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলায় ৫টি শিল্প পার্কে(Industrial Park) ১৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ নিয়ে আসার চেষ্টাও শুরু হয়েছে। যদি এই বিনিয়োগ আসে তাহলে ওই ৫টি শিল্পপার্কের হাত ধরে খুব কম করেও ৪ হাজার মানুষের প্রত্যক্ষ ভাবে এবং আরও ২ হাজার মানুষের পরোক্ষ ভাবে কর্মসংস্থান হবে। জেলার অর্থনীতিও লাভবান হবে।
আরও পড়ুন ৫৫ লক্ষ টাকার শৌচাগার কেলেঙ্কারি মালদায়, কাঠগড়ায় NGO
জেলার ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প নিয়ে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন। সেই রিপোর্টেই বলা হয়েছে, জেলায় কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে জেলায় ছোট-ছোট ৫টি শিল্পতালুক তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ওই ৫টি শিল্পপার্ক তৈরি করা হবে জেলার ৪টি পৃথক পৃথক জায়গায়। এর মধ্যে আসানসোলের ডামরায় প্রায় ৩০ একর, কাঁকসায় প্রায় ৮৩ একর, কুলটিতে প্রায় ৩৭ একর ও রানিগঞ্জের দু’টি এলাকা মিলিয়ে প্রায় ৫৫ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে এই ৫টি শিল্পপার্ক নির্মাণের জন্য। ওই শিল্পপার্কগুলি নির্মিত হয়ে গেলে সেখানে ১৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। এগুলি এখনও সবই প্রস্তাবিত পর্যায়ে রয়েছে। সবে প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে জেলায় এই মুহূর্তে ১০টি শিল্পতালুক সফল ভাবে চলছে। ওই শিল্পপার্কগুলিতে ইস্পাত, কৃষিজাত পণ্য, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং বস্ত্র, এই ক্ষেত্রগুলিতে বিনিয়োগ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সে জন্য কিছু পরিকাঠামোগত উন্নয়নেরকাজও চলছে জোর কদমে।