নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের আর পাঁচটা মহানগরের মতো কলকাতা(Kolkata) শহরের বুকেও বাড়ছে বায়ুদূষণ(Air Polution)। সেই দূষণের জেরেই শহরে মানুষের ফুসফুস যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তেমনি নানা রোগও দেখা দিচ্ছে। এই ছবিটাই পালটে দিতে চান কলকাতার মহানাগরিক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim)। তিনি জানিয়েছেন, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে আনতে আগামী বর্ষার মধ্যেই শহরে ২৫ লক্ষ গাছ লাগানোর(Tree Plantation) পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই কাজে সহযোগিতা চেয়ে কলকাতা মেট্রোকেও চিঠি পাঠানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে শহরের বুকে তিনি Green Buffer Zone তৈরি করার কথাও বলেছেন। এটাই সেই সঙ্গে জানিয়েছেন যে, যত্রতত্র পার্কিং বন্ধ করতে ফুটপাত উঁচু করার খুব শীঘ্রই শুরু হবে শহরের বুকে। শুক্রবার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে বায়ুদূষণ সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের উত্তরে এই কথাই জানিয়েছেন মেয়র।
আরও পড়ুন পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকেই বাড়ছে আপনার টিভি দেখার খরচ
ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, দিনে দিনে বায়ুদূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে কলকাতা শহরে। একাধিক গবেষণা রিপোর্ট তেমনই দাবি করা হয়েছে। শহরে পানীয় জল কিংবা নিকাশির সমস্যা থাকবেই। কিন্তু বাতাস পরিশুদ্ধ না করতে পারলে আগামী প্রজন্মের ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে আনাই এখন কলকাতা পুরনিগমের(KMC) সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ। তাই আগামী বর্ষার মধ্যেই শহরে ২৫ লক্ষ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই কাজে সহযোগিতা চেয়ে কলকাতা মেট্রোকেও চিঠি পাঠানো হবে। KMDA এবং HRBC-কে এই বিষয়ে সহায়তা করার অনুরোধ করা হবে বলে তিনি জানান। কেননা শহরে গাছ লাগানোর জায়গা প্রয়োজনের তুলনায় কম। তাই বিকল্প পথের কথা ভাবতে হচ্ছে। শহরের বুকে যে উড়ালপুলগুলি রয়েছে তার নীচে ও স্তম্ভে গাছ লাগানোর সুযোগ রয়েছে। মেট্রোর স্তম্ভগুলিতে Vertical Garden করা যেতে পারে। সেই জন্যই মেট্রো, কেএমডিএ, এইচআরবিসির উড়ালপুলের স্তম্ভগুলিতে আর বিজ্ঞাপন দেওয়ার দরকার নেই। সেখানে Vertical Gardem তৈরির অনুরোধ করা হবে। বিজ্ঞাপনের জন্য বিকল্প জায়গার ব্যবস্থা হবে। এমন গার্ডেন বানাতে পারলে গাছ লাগানোর জন্য অনেকটা জায়গা পাওয়া যাবে। এভাবে বায়ুদূষণ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে।