নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ‘মোদি’ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাতের সুরাত আদালত দুই বছরের জেলের সাজা ঘোষণার পরেই নজিরবিহীন তৎপরতায় রাহুল গান্ধির সাংসদপদ খারিজ করেছেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। আর ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে শুক্রবার দিনভর উত্তাল হয়েছে জাতীয় রাজনীতি। রাজীব তনয়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিজেপি বিরোধী দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।দেশের শীর্ষ আদালতের প্রথিতযশা আইনজীবীদের একাংশও মনে করছেন, প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির সাংসদ পদ খারিজ আবৈধ ও ভুল সিদ্ধান্ত।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি তথা নামী আইনজীবি বিকাশ সিংহের কথায়, ‘রাহুল গান্ধির সাংসদপদ খারিজ করাটা সম্পূর্ণ ভুল। কেননা, নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার অধিকার রয়েছে তাঁর। নিম্ন আদালত সেই অধিকার দিয়েছে। ফলে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত জানা পর্যন্ত অপেক্ষা করা যেত।’ অবিলম্বে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে উচ্চ আদালতের দরজায় কড়া নাড়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। প্রবীণ আইনজীবী এবং সাংবিধানিক আইন বিশেষজ্ঞ রাকেশ দ্বিবেদী অবশ্য সরাসরিই রাহুলের সাংসদপদ খারিজকে অবৈধ আখ্যা দিয়েছেন। যেহেতু রায়কে চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য তাঁকে ৩০ দিন সময় মঞ্জুর করা হয়েছে। যেহেতু সাজা ৩০ দিন স্থগিত রাখা হয়েছে, তাই ওই সময়ের মধ্যে সাংসদপদ খারিজ করা উচিত নয়।’
সুপ্রিম কোর্টের আর এক প্রবীণ আইনজীবি সিদ্ধার্থ লুথরা জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধি যদি নিম্ন আদালতের রায়ের উপরে স্থগিতাদেশ পান তাহলে তাঁর সাংসদপদ ফের ফিরিয়ে দিতে হবে লোকসভার অধ্যক্ষকে।এমনকী ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে লড়াইয়ের অধিকারও পাবেন। রাহুলের বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণা নিয়ে সুরাত আদালতের বিচারক অতি দ্রুততা দেখিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন অধিকাংশ আইনজীবী।