এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

সাধুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার বীরভূমে, রাজনীতি শুরু বিজেপির

নিজস্ব প্রতিনিধি: রবি সকালে কেষ্টগড় বীরভূমের(Birbhum) বুকে এক সাধুর(Saint) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট(Suicide Note) এবং একটি সোনার আংটি। কিন্তু সাধুর পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে কেউ বা কারা খুন(Murder) করে দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে। আর এই ঘটনা ঘিরেই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায়(Social Media) রাজনীতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি(BJP)। তাঁদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সংখ্যালঘু তোষণের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও পুলিশ এই ঘটনায় ওই সাধুর এক সাধন সঙ্গীনিকে আটক করেছে। যদিও ঘটনা হচ্ছে ওই সাধু যেখানে থাকতেন সেই বিন্দুবাসিনী মন্দির ও বেহেরা কালীবাড়ির মধ্যে বিস্তর দূরত্ব রয়েছে। তাই তিনি বেহেরা কালীবাড়ি এলাকায় গিয়ে আত্মঘাতী হ্যেছেন নাকি কেউ তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।

 আরও পড়ুন নীতীশ আসছেন মমতার দ্বারে, নজর রাখছে বিজেপি

জানা গিয়েছে, মৃত সাধুর নাম স্বামী ভবানন্দ ওরফে ভুবন মণ্ডল। এদিন সকালে বীরভূমের সিউড়ি সদর মহকুমার পুরন্দরপুরে বেহেরা কালীতলায়(Behera Kalibari) তাঁর ঝুলন্ত দেহ মেলে। সাধুর এহেন মৃত্যুতে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রবল উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে মন্দির সংলগ্ন জঙ্গলের ভিতরে বসবাসকারী এক সাধিকাকে আটক করেছে সিউড়ি থানার পুলিশ। তবে সাধু আদৌ আত্মঘাতী হয়েছেন নাকি তাঁকে হত্যা করা হয়েছে, তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। স্বামী ভবানন্দ খয়রাশোলের পাঁচড়া গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর দাদা জীবন মণ্ডলের দাবি, ‘১০-১২ বছর আগেই ভাই সাধু হয়ে যায়। বাড়ি ছেড়ে পুরন্দরপুরের বিন্দুবাসিনী মন্দির এলাকায় থাকতে শুরু করে দিয়েছিল। এলাকায় প্রভাব বিস্তারও করেছিল, জনপ্রিয়ও হচ্ছিল। সেই কারণে বিন্দুবাসিনী মন্দির কমিটির সদস্যদের বিরাগভাজন হয়ে পড়েছিল। সেই কারণেই ভাইকে খুন করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন বাংলা সহায়তা কেন্দ্রেই জমা দেওয়া যাবে খাজনা

স্বামী ভবানন্দকে খুনের অভিযোগেই রবিবার জীবন মণ্ডল বিন্দুবাসিনী মন্দির কমিটির সদস্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সিউড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাস তিনেক আগে তারাপীঠ থেকে এক সাধিকা আসেন পুরন্দরপুরে। মন্দির সংলগ্ন জঙ্গলে একটি কুটির বেঁধে থাকতেন তিনি। সেখানে মাঝেমধ্যে থাকতেন স্বামী ভবানন্দও। সেই কুটিরে গভীর রাত পর্যন্ত মদ্যপান-সহ একাধিক অসামাজিক কাজকর্ম হত। সেই কারণে ওই সাধিকার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁর কুটিরে ভাঙচুরও করা হয়েছে এদিন। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই মহিলাকে এদিন আটক করেছে পুলিশ। কিন্তু এসবের সঙ্গে কেউই রাজনীতির কোনও প্রসঙ্গই টেনে আনেননি বা মুখ্যমন্ত্রীকে টেনে ধরে সংখ্যালঘু তোষণের ফল হিসাবে দাবিও করেননি। অথচ বিজেপির অমিত মালব্য(Amit Malviya), বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(Sukantya Majumdar) এই ঘটনাকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজনীতি শুরু করে দিয়েছেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শান্তিপুরে অবসরপ্রাপ্ত বৃদ্ধের রহস্য মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য

শুভেন্দু অধিকারী ও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে এফআইআর দায়ের তমলুক থানায়

ঝাড়গ্রাম লোকসভা আসনে সিপিএমের উত্থানে সংকটে বিজেপি

স্ত্রী চলে যাওয়ার অভিমানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী স্বামী

ঝাড়গ্রামে ডোবাতে পড়ে যাওয়া হাতিকে উদ্ধারে ব্যর্থ বন দফতর ,অবশেষে মৃত্যু

দু চোখ অন্ধ থাকলেও মাধ্যমিক পরীক্ষায় তাক লাগানো ফল এক জন্মান্ধ মেয়ের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর