নিজস্ব প্রতিনিধি: এর আগে কোচবিহারে(Coachbehar) সভা করতে এসে সেই সভার মঞ্চে তিনি ডেকে নিয়েছিলেন BSF’র গুলিতে নিহত প্রেমকুমার বর্মণের(Prem Kumar Burman) পরিবারকে। সেই সভা থেকেই তিনি বাংলার(Bengal) মানুষকে, দেশের(India) মানুষকে তিনি জানিয়েছিলেন কাশ্মীরে ছররা গুলিতে যেভাবে জঙ্গি নিধন হয় সেই গুলিতেই কীভাবে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছে প্রেমকুমারকে। যার বয়স মাত্র ১৯। সেদিন তাঁর মুখে এই ভয়ঙ্কর কথা শুনে চমকে উঠেছিল গোটা বিশ্ব। এবারে তিনি কাছে ডেকে নিয়েছেন প্রেমকুমারের পরিবারকে। সঙ্গে ডেকে এনেছেন আরও এক সংখ্যালঘু পরিবারকে যা পরিবারের এক ছেলেকেও গুলি করে মেরেছে অমিত শাহ(Amit Shah) আর নিশীথ প্রামাণিকের(Nishith Pramanik) BSF। কোচবিহারের বুক থেকে ‘জনসংযোগ যাত্রা শুরুর আগেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) কাছে চলে এল BSF’র গুলিতে নিহত দুই যুবকের পরিবার।
আরও পড়ুন পদ্মগড়ে জনস্রোত অভিষেককে ঘিরে, প্রশ্নের মুখে নিশীথ
মঙ্গলবার দিনহাটার বামনহাটের সাহেবগঞ্জ এলাকায় অভিষেকের তাঁবুতে যান BSF’র গুলিতে নিহত দুই যুবক প্রেমকুমার বর্মণ এবং মোজাফ্ফর রহমানের পরিবারের সদস্যরা। সেখানে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। খোঁজখবর নেন দু’টি পরিবারের। ২০২২ সালের ৩০ জুন বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল দিনহাটা গীতালদহের বাসিন্দা মোজাফ্ফরের। মঙ্গলবার তাঁর স্ত্রী বিলকিস খাতুন বিবি এবং তার কন্যা দিনহাটার বামনহাটে দেখা করতে যান অভিষেকের সঙ্গে। দিনহাটার গীতালদহে বাড়ি প্রেমকুমারের। ২০২২ সালের ২৪শে ডিসেম্বর বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হয় এই পরিযায়ী শ্রমিকের।
আরও পড়ুন ১২৫ বছরের পথ পেরিয়ে নয়া সঙ্ঘের জন্ম রামকৃষ্ণ মিশনে
এদিন অভিষেকের সঙ্গে দেখা করার আগে মোজাফ্ফরের স্ত্রী বিলকিস খাতুন বিবি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের বলেন, ‘আমি যাতে সন্তানকে নিয়ে সংসার চালাতে পারি, সে জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এসেছি। আমার একটা কাজ চাই। আমার স্বামী প্রতি দিনের মতো মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। তার পর আর ফেরেননি। পর দিন তাঁর দেহ পাওয়া যায়। অন্যদিকে প্রেমকুমারের মা সুখমণি বর্মণ জানান, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন। আমরা কেমন আছি জানতে চেয়েছেন। উনি আমাদের খোঁজখবর নেন। তবে অভিষেকের কাছে আমার কোনও দাবি নেই।’