নিজস্ব প্রতিনিধি: ত্রিপুরায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানা হচ্ছে না। এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল কংগ্রেস। আর তৃণমূলের করা আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণ করল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে। পুরভোটে ত্রিপুরা পুলিশের ডিজি, স্বরাষ্ট্রসচিব ও মুখ্যসচিবকে সুপ্রিম নির্দেশ দেওয়া হয়, সমস্ত দলের প্রার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতের হবে, প্রচারে অনুমতি দিতে হবে। কিন্তু সেই নির্দেশ মানা হচ্ছে না ত্রিপুরা পুলিশের তরফে, এই মর্মেই আদালত অবমাননার মামলা করে তৃণমূল কংগ্রেস, যা গ্রহণ করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
ত্রিপুরায় লাগাতার সন্ত্রাস ও তৃণমূল কর্মীদের উপর আক্রমণের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সাংসদ সুস্মিতা দেব। ত্রিপুরায় প্রচারে গিয়ে বারবার আক্রান্ত হচ্ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেওয়া তো দূর অস্ত উল্টে তৃণমূল নেতা-কর্মীদেরই হেনস্থা করছেন এমনটাই দাবি করেছিল তৃণমূল। যার প্রেক্ষিতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা করেন সুস্মিতা। যার ভিত্তিতে ত্রিপুরায় বিপ্লব দেবের সরকারকে তিরষ্কার করে সুপ্রিম কোর্ট। ওই রাজ্যে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে ত্রিপুরা পুলিশের ডিজি-র কাছে হলফনামার আকারে রিপোর্ট তলব করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় ত্রিপুরায় অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে। কোনও রাজনৈতিক দল যাতে প্রচারে বাধাপ্রাপ্ত না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। বিরোধী নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
কিন্তু তৃণমূলের অভিযোগ দেশের সর্বোচ্চ আদালতের একটিও নির্দেশ মানছে না ত্রিপুরা সরকার। পাল্টা সুপ্রিম নির্দেশ তোয়াক্কা না করেই পাল্টা বিরোধীদের বাড়ি ভাঙচুর, প্রার্থীদের মারধর ও হেনস্থার অভিযোগ করেছে তৃণমূল। গত রবিবার আগরতলা মহিলা থানায় সায়নী ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুনরায় হেলমেট পরে হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত গুণ্ডারা। সেই সংক্রান্ত ভিডিও টুইটারে প্রকাশ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সমস্ত ঘটনার প্রেক্ষিতেই তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপি শাসিত ত্রিপুরাতে সুপ্রিম নির্দেশ মানা হচ্ছে না। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।