নিজস্ব প্রতিনিধি: বিশ্বকর্মা পুজোর ঠিক ২ দিন আগে গত শনিবার কলকাতা পুরনিগমে(KMC) অধিবেশন চলাকালীন সময়ে মারামারির ঘটনা ঘটে বিজেপি এবং তৃণমূল কাউন্সিলরদের মধ্যে। বিজেপি কাউন্সিলর(BJP Councilor) সজল ঘোষ(Sajal Ghosh) অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করেছেন তৃণমূল কাউন্সিলর(TMC Councilor) অসীম বসু(Ashim Basu)। সেই সঙ্গে তাঁর বাবা প্রবীণ রাজনীতিক প্রদীপ ঘোষকেও গালিগালাজ করা হয়েছে। পাল্টা তৃণমূল কাউন্সিলর অসীমের অভিযোগ, বিজেপি কাউন্সিলর সজল তাঁদের দলকে চোর বলে সম্বোধন করেছেন। যা অত্যন্ত আপত্তিজনক এবং অসম্মানজনকও বটে। মারামারির ঘটনার জেরে শনিবারেই দুই কাউন্সিলরকে শোকজ় করেন কলকাতা পুরনিগমের চেয়ারপার্সন(Chairperson) তথা দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল সাংসদ মালা রায়(Mala Roy)। জানিয়ে দেন ৭ দিনের মধ্যে শোকজ়ের জবাব দিতে হবে। শুক্রবার দুই কাউন্সিলর নিজেদের জবাব জমা দিয়েছেন। কিন্তু এদিন অর্থাৎ শনিবার মালা জানিয়ে দেন, শোকজ়ের জবাব সন্তোষজনক না হলে শাস্তির সম্মুখীন হতে পারেন দুই কাউন্সিলরই।
কলকাতা পুরনিগমের ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ এবং ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম বসু তাঁদের করা শোকজের জবাব দিলেও, এখনও তা দেখার সুযোগ হয়নি চেয়ারপার্সনের। শুক্রবার রাতেই দিল্লি থেকে সংসদের অধিবেশনে যোগ দিয়ে কলকাতায় ফিরেছেন দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ। তবে নিজের অফিস মারফত জেনেছেন দুই কাউন্সিলরই শোকজের জবাব জমা দিয়েছেন তাঁর দফতরে। মালা বলেছেন, ‘সব কিছুই করা হবে কলকাতা পুরনিগমের আইন মেনে। আগে ওই দুই কাউন্সিলর কী জবাব দিয়েছেন তা খতিয়ে দেখতে হবে। তাঁদের জবাব যদি সন্তোষজনক না হয়, সে ক্ষেত্রে আলোচনা সাপেক্ষে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে নিজেদের কাজের জন্য যদি তাঁরা অনুতাপ প্রকাশ করে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন, তা হলে তাঁদের শাস্তির মুখে না-ও পড়তে হতে পারে।’ আর মালার এই মন্তব্যই কার্যত বলে দিচ্ছে, দুঃখপ্রকাশ করে দুই কাউন্সিলর ক্ষমা না চাইলে তাঁদের শাস্তির মুখে পড়তে হবে।