নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের পূর্ব থেকে পশ্চিমের পথে যাত্রা শুরু করেছেন রাহুল গান্ধি(Rahul Gandhi)। তাঁর এই যাত্রার নাম ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা(Bharat Jodo Nyay Yatra)। গত ১৪ জানুয়ারি উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপু্র থেকে তাঁর সেই যাত্রা শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের আগে। কার্যত প্রথম দিন থেকেই এই যাত্রায় মানুষের ঢল নামতে দেখা গিয়েছে। আবাল বৃদ্ধবণিতা থেকে তরুণ প্রজন্ম সামিল হয়েছেন রাহুলের সঙ্গে পথযাত্রায়। একই সঙ্গে এই যাত্রা গেরুয়া শিবিরের উদ্বেগও বাড়িয়েছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী তো কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন রাহুলকে জেলে পোরার জন্য। তবুও সেই হুমকি উপেক্ষা করেই রাহুলের পদযাত্রা এগিয়ে চলেছে লক্ষ্যের পাণে। ৬৬ দিনে দেশের ১৫টি রাজ্যের ৮৫টি জেলা ছুঁয়ে মোট ৬,৭০০কিমি পথ পেরিয়ে এই যাত্রা শেষ হবে আরবসাগরের তীরে মুম্বইয়ের বুকে। এবার সেই যাত্রার জন্য বিজেপির উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে দিলেন রাহুল। কেননা কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এদিন অর্থাৎ শনিবার জানিয়েছেন, আগামী ২১ জানুয়ারি রাহুল অসমে(Assam) বৈষ্ণব ধর্মগুরু(Vaishnava Religious Guru) শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের(Srimanta Sankardev) জন্মভিটেতে যাবেন তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে।
অসমের ক্ষমতায় একাধিকবার এসেছে কংগ্রেস। তবে শেষ দুটি বিধানসভা নির্বাচনেই সেখানে জয়ী হয়েছে বিজেপি। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। ঠিক তার আগে অসমের বৈষ্ণব ধর্মগুরু শঙ্করদেবের জন্মভিটেতে গিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো রাহুলের নিঃসন্দেহে এক বড় পদক্ষেপ। কেননা অসমে বৈষ্ণব ধর্মের প্রভাব অপরিসীম। ঠিক ততটাই প্রভাব শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের। তাঁর অনুগামী ও দীক্ষিত শিষ্যের সংখ্যা কয়েক লক্ষ মানুষ। আগামী ২১ তারিখ অসমের নওগাঁও জেলার বাটাদ্রাওয়া থানে গিয়ে রাহুল শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের জন্মভিটে ঘুরে দেখবেন তাঁকে শ্রদ্ধা জানাবেন। দেখার বিষয় এটাও অসমের প্রায় কোটির ওপর থাকা শঙ্করদেবের অনুগামী ও দীক্ষিতরা আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসমুখী হন কিনা। কেননা অসমে সবাই যে বিজেপির শাসনে খুন খুশি এমনটা মোটেও বলা যায় না। যদি সবাই খুশি থাকতেন তাহলে রাহুলের পদযাত্রায় বিচলিত হয়ে হিমন্ত বিশ্বশর্মাও তাঁকে জেলে পুরে দেওয়ার হুমকি দিতেন না। কার্যত তিনি ভয় পেয়েছেন রাহুলের ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় আমজনতার ঢল দেখে। পাছে যদি তাঁর গদি উল্টে যায়!