এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

তুমি রবে নীরবে! সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে খোলা চিঠি সুদর্শনার

নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি না থেকেও রয়ে গিয়েছেন আমাদের মধ্যে। বাংলার রাজনীতিতে তো বটেই, এই পুরভোটের আবহে তিনি এখনও লোকের মুখে মুখে চর্চিত। তিনি রয়েছেন তাঁর সুযোগ্য শিষ্যার অন্তরেও। তাই পুরভোটের প্রার্থী হয়ে প্রচারের শেষ লগ্নে তাঁকেই অন্তরের শ্রদ্ধা জানালেন শিষ্যা। আর সেটাও ফেসবুকে খোলা চিঠি দিয়ে, ‘তুমি রবে নীরবে’। নজরে কলকাতা পুরনিগমের ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সুদর্শনা মুখার্জী, যাকে কলকাতার রাজনৈতিক মহল রাজ্যের দাপুটে নেতামন্ত্রী সদ্য প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের শিষ্যা বলেই চেনে। এদিন নিজের ফেসবুক পোস্টে সেই সুব্রতকেই অন্তরের শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সুদর্শনা।

সুদর্শনা তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘রাজনীতিতে আমার হাতেখড়ি তোমার হাতেই। তোমার দেখানো পথেই রাজনীতিতে শুরু হয়েছিল আমার পথচলা। ২০১৫ সালে অনভিজ্ঞ, অচেনা সুদর্শনাকে রাজনীতির ময়দানে প্রতিষ্ঠা পেতে তুমিই সাহায্য করেছিলে। ছাত্রী সুদর্শনা সর্বদা তোমার দেখানো পথ অনুসরণ করে প্রতিটি অগ্নিপরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছে। কোভিড মহামারী থেকে আম্ফান বিপর্যয়, তোমার শেখানো রাস্তাতেই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। এবার সামনে বড় পরীক্ষা। শেষদিন ওপেন জিম উদ্বোধন করতে এসেও তুমি বলেছিলে সামনে বড় পরীক্ষা, সুদর্শনা তৈরি হও। রসিকতা পছন্দ করতে, কোনোদিনও অভিনয় ও অতি নাটকীয়তা পছন্দ করতে না। কথায় বলে রক্তের সম্পর্কে আত্মীয় হয় না। আত্মার সম্পর্কে আত্মীয় হয়। তুমি আজ নেই। তবুও তোমার প্রতি বিশ্বাস, ভালবাসা, শ্রদ্ধা চিরদিন থাকবে। দূরে চলে গিয়েও তুমি থাকবে হৃদয়ে….  …….তুমি অন্তরাল থেকেও আমাকে আশির্বাদ করবে। অন্য জগতেও তুমি ভাল থেকো।’ কার্যত সুব্রতকে খোলা চিঠিই দিয়েছেন তিনি। এই লেখার সঙ্গে একটি ভিডিয়োও শেয়ার করেছেন সুদর্শনা। তাতে রয়েছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁর ছবির কোলাজ। ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে ‘তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম’ গানটি।

সুদর্শনা ছিলেন সাংবাদিকতার জগতে। দীর্ঘ দুই দশক তিনি কাটিয়ে এসেছেন সেই ময়দানে। রাজ্য রাজনীতির নাড়িনক্ষত্র তাঁর জানা। সেই সূত্রেই তাঁর সঙ্গে পরিচিতি সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। যারা সুদর্শনাকে খুব কাছ থেকে চেনেন তাঁরা কোনও সময়েই জোর গলায় বলতে পারবেন না সুদর্শনা ডাকসাইটে সুন্দরী ছিলেন। কিন্তু এটা ঘটনা সুদর্শনা এখন ‘সৌন্দর্যের সংজ্ঞা’ হয়ে উঠেছেন। সাংবাদিক থেকে পুরোদস্তুর রাজনীতিবিদ হয়ে উঠেছেন। আর তাঁর এই বিবর্তনের নেপথ্য নায়ক সেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বাংলার এই জনপ্রিয় দাপুটে নেতা নিজেকে কার্যত জহুরির আসনে বসিয়ে সুদর্শনাকে তুলে এনেছিলেন সাংবাদিকতার জগত থেকে রাজনীতির জগতে। সেই রত্ন তুলে আনা যে ভুল ছিল না সেটা গড়িয়াহাট এলাকার ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রবীণ মানুষদের পাশাপাশি আমজনতাও খুব ভাল করেই জানেন। সবই আছে, তবে নীরবে, হৃদয়ে মম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ভোট বড় দায়, বামেদের মুখে ঝামা ঘষে মমতার লক্ষ্মীর ভান্ডারের পাশে বৃন্দা

শ্লীলতাহানি কাণ্ডে রাজভবনে ৩ কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর

কেন এত সময় লাগছে? মানিকতলা উপনির্বাচন নিয়ে কমিশনকে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

আচার্য জগদীশ চন্দ্র বোস রোড থেকে উদ্ধার ১২ লক্ষ টাকা ,গ্রেফতার ২

অভিজিতের প্রার্থী পদ বাতিলের দাবি শশী পাঁজার

বন্দে ভারতের মেনুতে বিরাট বদল! লাঞ্চ-ডিনারে মিলবে সর্ষে-ইলিশ, কাতলা-কালিয়া

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর