নিজস্ব প্রতিনিধি: ১২ জন সাংসদের সাসপেনশন ইস্যুতে চালাকি করতে গিয়ে বিপাকে কেন্দ্রের শাসকদল। রবিবার রাতেই সমস্ত বিরোধী দলদের না ডেকে শুধুমাত্র সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিআই ও শিবসেনা নেতাদের বৈঠকে যোগ দিতে ডাকা হয়। মূলত রাজ্যসভার সাংসদদের সাসপেনশন নিয়ে বৈঠক ডাকেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। তিনি চিঠি দিয়ে জানান, সোমবার সংসদের লাইব্রেরি হলে বিজেপির রাজ্যসভার দলীয় নেতা পীযূষ গোয়েল সাসপেনশন ইস্যু নিয়ে বৈঠকে বসতে রাজি। কিন্তু কেন্দ্রের পাতা ফাঁদে পা দেয়নি বিরোধীরা। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়ে দিয়েছেন,’মাত্র কয়েকটি দলকে ডেকে বিরোধী ঐক্য ফাটল ধরাতে চাইছে কেন্দ্র। তাতে সামিল হবেন না কেউ।’
বাদল অধিবেশনের ঘটনার জেরে তৃণমূল ও কংগ্রেস সহ একাধিক দলের ১২ জন সাংসদ গোটা শীতকালীন অধিবেশন সাসপেন্ড রয়েছেন। যার জেরে গোটা শীতকালীন অধিবেশন গান্ধি মূর্তির পাদদেশেই ধর্না দেন সাসপেন্ডেড সাংসদরা। যাদের পাশে এসে দাঁড়ায় বিভিন্ন বিরোধী দলের সাংসদরা। সেই সমস্যা মেটানোর জন্য মাত্র পাঁচটি দলকেই বৈঠকে ডেকে বিরোধী ঐক্য ফাটল ধরাতে চাইছিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। ১২ জন সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে এককাট্টা বিরোধীরা। সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্যসভা বয়কট করেছেন বিরোধী নেতারা। এতে সংসদ চালাতে অসুবিধা হচ্ছে বলে বারবার দাবি করেছিল কেন্দ্রের শাসক দল। তাই বেছে বেছে কিছু রাজনৈতিক দলের নেতাদের ডাকা হতেই আরও সুর চরিয়েছে বিরোধীরা।
তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইট করে জানিয়েছেন, ‘সব দলকে না ডেকে সরকার কেবলমাত্র সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের দলগুলিকে বৈঠকে বসার জন্য চিঠি পাঠিয়েছে। এটা কেন্দ্রের ‘ব্যর্থ স্টান্ট’।’ একই বক্তব্য রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের। সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীকে তিনি জানিয়েছিলেন, সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের পাশে দাঁড়িয়েছে সব বিরোধী দল। বৈঠকে ডাকতে হলে সবাইকে ডাকতে হবে।