নিজস্ব প্রতিনিধি, কক্সবাজার: ঘটনার পাঁচ দিন বাদেও সৈকত শহরে বেড়াতে আসা মহিলা পর্যটককে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মূলপাণ্ডাদের নাগাল পায়নি পুলিশ। তবে নির্যাতিতা গৃহবধূর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে আজ রবিবার আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে ঘটনার মূলপাণ্ডাদের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্রগ্রাম বিভাগের ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি মোহাম্মদ মুসলিম।
গত বুধবার স্বামী ও শিশু সন্তানকে নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন ঢাকার যাত্রাবাড়ির বাসিন্দা এক গৃহবধূ। অভিযোগ, স্বামী ও শিশুসন্তানকে অপহরণ করে খুনের ভয় দেখিয়ে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী আশিকুর রহমান ও তার সঙ্গীরা। গণধর্ষণের ঘটনায় সহযোগিতা করে স্থানীয় একটি অতিথিশালার ম্যানেজার রিয়াজউদ্দিন ছোটেন। খবর পেয়ে রাতে গিয়ে অতিথিশালা থেকে নির্যাতিতা গৃহবধূকে উদ্ধার করেন র্যাবের সদস্যরা। ওই ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পরেই দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
গণধর্ষণের ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে আসরে নেমেছিলেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ও তাঁর স্যাঙাতরা। গণধর্ষণের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে নির্যাতিতা গৃহবধূর চরিত্র নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়। তাতে উল্টোফল হয়। দেশজুড়ে সমালোচনার ঝর বয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত চাপে পড়ে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পথে হাঁটেন স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকরা। প্রথমে অতিথিশালার ম্যানেজারকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জেরা করে শনিবার রাতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে আরও পাঁচজনকে আটক করা হয়। এ নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হল। যদিও ধর্ষণকাণ্ডের মূলপাণ্ডা আশিকুর রহমান, ইসরাফিল খোদা জয় এখনও অধরা। ফলে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের মধ্যে ক্ষোভ বেড়ে চলেছে।