এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে

ভারতচন্দ্র রায়গুনাকর তার অন্নদামঙ্গল কাব্যে দুধ-ভাত খেয়ে থাকা বাঙালির সন্তানের জন্য আশীর্বাদ প্রার্থনা করেছিলেন। যদিও সে আশীর্বাদ বর্ষিত হয়নি এ বঙ্গ সন্তানের মাথায়। ইনি অন্নদাশঙ্কর রায়ের সে ডানপিটে ছেলের মতন, যে ছেলে শিলনোড়া খেতে চেয়েছিলেন দুধ-ভাত ফেলে। তৈরি করেছিলেন একটি আশ্চর্য শব্দবন্ধ-জীবনের বিশ্ববিদ্যালয়। যে বিশ্ববিদ্যালের আদর্শে শিক্ষিত হয়ে উঠেছিলেন বাঙালি তরুণ প্রজন্মের আইকন।
শতবর্ষ আগে মধ্য প্রদেশের একটি ছাত্র সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে সুভাষচন্দ্র বসু বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়িয়া বাহির হইবার পর প্রায় দশ বৎসর আমার কাটিয়া গিয়াছে। এখন কিন্তু নিজেকে ছাত্র ছাড়া আর কিছুই মনে করিতে পারি না। কিন্তু আমার এই বিশ্ববিদ্যালয় আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয় হইতে একটি বড়ো এবং ব্যাপক। ইহাকে জীবনের বিশ্ববিদ্যালয় বলিলেই ঠিক হয়।’
ব্রিটিশ শাসনের শৃঙ্খল থেকে ভারতকে স্বাধীন করার পিছনে কম-বেশি সকলের অবদান রয়েছ। কিন্তু সুভাষচন্দ্র বসু বাকিদের থেকে স্বতন্ত্র। স্বাধীনতা সংগ্রামে দেশের তরুণ সমাজকে দেশাত্মবোধে জাগ্রত করার মূল কারিগর ভারতের এই বীর সন্তান।
ছাত্রানং অধ্যয়নং তপঃ- এ মন্ত্রে বিন্দুমাত্র আস্থা ছিল না সুভাষের। তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন মুখস্থ বিদ্যা কোনওকালে তপস্যা হতে পারে না। তিনি নিজেও যেমন বখাটে ছিলেন, পছন্দ করতে বখাটে ছেলে। শ্রীহট্টের ছাত্র সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, ‘তের নদী পার হইয়া অজানার সন্ধানে ভ্রমণ করিতে করিতে ইংরাজ জাতির জন্য সাম্রাজ্য জয় করেন। ইংল্যান্ডের ভালো ছেলেরা যাহা করিতে পারে নাই। করিতে পারিত না। তাহা সম্পন্ন করিল রবার্ট ক্লাইভ’।
এই সম্ভাষণ থেকে স্পষ্ট, সুভাষের কাঙ্খিত ফল- স্পিরিট অব অ্যাডভেঞ্চার। রবীন্দ্রনাথের কথায়
‘দেখা না-দেখায় মেশা হে, হে বিদ্যুৎলতা
কাঁপাও ঝড়ের বুকে একি ব্যাকুলতা, হায়!
দেখা না-দেখায় মেশা হে
গগনে সে ঘুরে ঘুরে খোঁজে কাছে, খোঁজে দূরে
গগনে সে ঘুরে ঘুরে খোঁজে কাছে, খোঁজে দূরে
সহসা কী হাসি হাস′, নাহি কহ কথা
কাঁপাও ঝড়ের বুকে একি ব্যাকুলতা, হায়!’

জীবনের বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে স্বাধীনতা, শৃঙ্খলাবোধ। সর্বপরি মুক্ত মন। কবি-সুভাষ লিখছেন – (কবি সম্বোধন করলে অত্যুক্তি হয় না।তাঁর সাহিত্যগুণ সে দাবি করে) ‘আজকাল স্কুল-কলেজে ভালো ছেলে নামে এক শ্রেণির জীবকে দেখা যায়। আমি তাহাদিগকে কৃপার চোখে দেখি। তাহারা গ্রন্থকীট। পুঁথির বাহিরে তাহাদের অস্তিত্ব নাই এবং পরীক্ষার প্রাঙ্গনে তাহাদের জীবন পর্যবসিত হয়। ইহাদের সহিত তুলনা করুন বখাটে ক্লাইভকে। এই বাপে তাড়ানো, মায়ে খেদানো ছেলে সাত সমুদ্র তের নদী পার হইয়া অজানার সন্ধানে ভ্রমণ করিতে করিতে ইংরেজ জাতির জন্য সাম্রাজ্য জয় করে। ইংল্যান্ডের ভালো ছেলেরা যাহা করিতে পারে না, করিতে পারিত না, তাহা সম্পন্ন করিল বখাটে রবার্ট ক্লাইভ।‘
স্বীকার করতে হয়, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ছিলেন বাঙালির বখাটে ছেলে।

এই মুহূর্তের তরফ থেকে বাঙালির এই বীর সন্তানকে বিনম্র শ্রদ্ধা।

নেতাজির কয়েকটি বাণী

মানুষ যতদিন বেপরোয়া, ততদিন সে প্রাণবন্ত।

নরম মাটিতে জন্মেছে বলেই বাঙালির এমন সরল প্রাণ”।

আমাদের সবচেয়ে বড় জাতীয় সমস্যা হল, দারিদ্র, অশিক্ষা, , বৈজ্ঞানিক উত্‍পাদন। যে সমস্যাগুলির সমাধান হবে, কেবলমাত্র সামাজিকভাবনা চিন্তার দ্বারা।

জগতের সব কিছু ক্ষণভঙ্গুর। শুধু একটা জিনিস ভাঙে না, সে বস্তু, ভাব বা আদর্শ

প্রকৃতির সঙ্গ ও শিক্ষা না পাইলে, জীবন মরুলোকে বির্বাসনের মত, সকল অনুপ্রেরণা হারায়
জীবনে প্রগতির আশা নিজেকে ভয়, সন্দেহ থেকে দূরে রাখে এবং তার সমাধানের প্রয়াস চালাতে থাকে।
ভারত ডাকছে। রক্ত ডাক দিয়েছে রক্তকে। উঠে দাঁড়াও আমাদের নষ্ট করার মতো সময় নেই। অস্ত্র তোলো!যদি ভগবান চান , তাহলে আমরা শহিদের মৃত্যু বরণ করব।
বাস্তব বোঝা কঠিন। তবে জীবনকে সত্যতার পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সত্যকে গ্রহণ করতে হবে।

মানুষ, টাকাকড়ি ,বাহ্যিক আড়ম্বর দিয়ে জয়লাভ বা স্বাধীনতা কেনা যায় না।

আমাদের আত্মশক্তি থাকতে হবে, যা সাহসী পদক্ষেপ নিতে উত্‍সাহ দেবে।

নিজের প্রতি সত্য হলে বিশ্বমানবের প্রতি কেউ অসত্য হতে পারে না।

যদি জীবনে সংগ্রাম, ঝুঁকি না থাকে , তাহলে জীবন বাঁচাটা অনেকটা ফিকে হয়ে যায়।

স্বাধীনতা দেওয়া হয়না, ছিনিয়ে নিতে হয়।

কোনও একটা চিন্তনের জন্য একজন মৃত্যুবরণ করতে পারেন। কিন্তু সেই চিন্তনের মৃত্যু হয় না। সেই চিন্তন একজনের মৃত্যুর পর হাজার জনের মধ্যে ছড়িয়ে যায়।

শুধু আলোচনার মাধ্যমে ইতিহাসের কোন আসল পরিবর্তন সাধিত হয়নি।

মনে রাখতে হবে যে সবচেয়ে বড় অপরাধ হল অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

টানা তৃতীয়বার লন্ডনের মেয়র পদে জিতলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত সাদিক খান

একটি মাত্র ভবনে আস্ত একখানা শহর! জেনে নিন কোথায় এই আজব শহর

প্রচার চালানোর অর্থ নেই, সরে দাঁড়ালেন পুরীর কংগ্রেস প্রার্থী

১৭ জন রোগীকে হত্যার অভিযোগে ৭০০ বছরের বেশি কারাদণ্ড নার্সের

যমজ ভাইয়ের ‘ডবল সাফল্য’! মাধ্যমিকে একই নম্বর পেয়ে তাক লাগাল দুই ছাত্র

৭৬ বছর ধরে বিনা টিকিটে ভ্রমণ!জেনে নিন কোথায় চলে এই ট্রেন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর