নিজস্ব প্রতিনিধি: টানা বেশ কয়েকদিন বাদে রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনার দৈনিক সংক্রমণ। একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন দু হাজার ৭২৩ জন। যার ফলে মারণ ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখের গণ্ডি ছাড়াল। দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি দৈনিক মৃত্যু ও শনাক্তের হার-ও বেড়েছে। একদিনে মারণ ভাইরাসের ছোবলে মৃত্যুর কোলে লুটিয়ে পড়েছেন ৩৫ জন। এ নিয়ে টানা ১৯ দিন ৩০-এর উপরে মৃত্যুর সাক্ষী থাকল রাজ্য। শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে চার দশমিক ৬৪ শতাংশে। তবে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে।
বেনজির তাণ্ডব চালানোর পরে গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যে নিম্নমুখী ছিল করোনার সংক্রমণ। ফলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। কিন্তু গত ২৪ ঘন্টায় আচমকা ইউ-টার্ন নিয়েছে মারণ ভাইরাস। বুধবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত দৈনিক করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৫৯ হাজার ১০৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে চার দশমিক ৬৪ শতাংশ। নতুন করে দু হাজার ৭২৩ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০ লাখ ২৫৩ জন। পাশাপাশি একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ৩৫ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনার বলি হলেন ২০ হাজার ৬৮৭ জন।’
স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে কলকাতাকে পিছনে ফেলে শীর্ষে উঠে এসেছে উত্তর ২৪ পরগনা। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জেলাটিতে একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬৫ জন। মারা গিয়েছেন ছয়জন। কলকাতায় নতুন করে ৩২৪ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। প্রাণঘাতী ভাইরাসের ছোবলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন সাতজন। দৈনিক মৃত্যুর নিরিখে অবশ্য শীর্ষে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। ওই জেলায় একদিনে মারা গিয়েছেন আটজন। আর নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১২৪ জন। হাওড়া ও হুগলিতে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন যথাক্রমে ৯০ ও ৯৫ জন।
অবশ্য অনেকটাই স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন দু হাজার ৯৫০ জন। এ নিয়ে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনাকে জয় করলেন ১৯ লাখ ৫৭ হাজার ৬৮৬ জন। সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৯৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ। একদিনে অ্যাকটিভ কেস কমেছে ২৬২টি। যার ফলে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৮৮০ জনে।’