নিজস্ব প্রতিনিধি: শিয়রে উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন। আর তার আগেই উত্তরপ্রদেশে গিয়ে লখনউতে সপা নেতা অখিলেশকে ভোট দিতে আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরপ্রদেশ যার দিল্লি তাঁর, তাই গোবলয়ের এই রাজ্যের নির্বাচনের দিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ। আর সেই রাজ্যে শুধুই বিজেপি বনাম কংগ্রেস ও সপা নয়। উত্তরপ্রদেশের লড়াইয়ে মাঠে নেমে পড়েছে আসাদউদ্দিন ওয়েসির দল মিম ও কেজরিওয়ালের আপ থেকে শুরু করে মায়াবতীর বসপা। মঙ্গলবার লখনউতে ভার্চুয়াল জনসভায় মমতা নাম না করে বিঁধেছেন মিমি প্রধান ওয়েসিকে। মমতার নিশানায় এদিন ছিলেন রাহুল গান্ধি ও প্রিয়াঙ্কা। যদিও কারোর নাম মুখে আনেন নি তৃণমূল নেত্রী। ওয়েসিকে বসন্তের কোকিল ও রাহুল-প্রিয়াঙ্কাকে কোয়েল-দোয়েল বলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। গোবলয়ের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশে। সেই রাজ্যে বিভিন্ন শ্রেণীর ও সমাজের মানুষের বসবাস। তাই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যোগী রাজ্যে প্রার্থী দেওয়ায় ক্ষতি হবে সপার। তাই নাম না করেই ওয়েসি ও কংগ্রেসের দুই নেতৃত্বকে বিঁধেছেন মমতা।
নেত্রী বলেছেন, ‘অখিলেশজি ৩৬৫ দিন উত্তরপ্রদেশের মানুষের সঙ্গে থাকেন। তাঁকে ভোট দিন। উনি আপনার পাশে থাকবেন। ভোট ভাগাভাগি করলে বিজেপির লাভ হবে। আমি বিশ্বাস করি এবারের নির্বাচনে ভোট ভাগাভাগি হবে না। দুটো রাজনৈতিক দল আছে যারা ভোট ভাগাভাগি করে বিজেপির লাভ করে। পাঁচবছর দেখতে পাওয়া যায় না, কিন্তু যখন ভোট আসে তখন দেখতে পাওয়া যায়। এরা বসন্তের কোকিল। একজন কোয়েল অন্যজন দোয়েল। আবার ভোট মিটে গিলে একজন দিল্লি আর একজন হায়দরাবাদে বসে থাকে।’ নেত্রী আরও জানিয়েছেন, ‘সারা বছর এঁদের কোথাও দেখা যায় না। মানুষের পাশে থাকতে দেখা যায় না। কিন্তু ভোট এলেই কিছু মানুষ বসন্তের কোকিলের মতো এসে পড়েন। এঁদের ভাল করে চিনে নিন। এঁদের একটি ভোটও দেবেন না। কারণ এঁদের ভোট দেওয়ার অর্থ বিজেপি-র হাত শক্ত করা।’
উত্তরপ্রদেশের ভোটে ওয়েসির প্রার্থী দেওয়া নিয়ে মমতাকে প্রশ্ন করলে তিনি পাল্টা বলেন, ‘কে ওয়েসি চিনিই না আমি। ওটা বিজেপির বসন্তের কোকিল ওদের জিজ্ঞাসা করুন। আর এরা উত্তরপ্রদেশের ভোটে কোনও ফ্যাক্টর হবে না।’