এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বিশ্বভারতীর অচলাবস্থা কাটাতে ৩ দফা নির্দেশ হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিনিধি: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের(Viswabharati University) অচলাবস্থ কাটাতে এবার কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court)। বিশ্বভারতীর অচলাবস্থা নিয়ে দায়ের হওয়া একটি মামলার শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার ৩ দফা নির্দেশ জারি করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। তাঁর নির্দেশে তিনি জানিয়েছেন, আন্দোলন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার তাই আদালত তাতে হস্তক্ষেপ করবে না। কিন্তু পড়ুয়াদের এই আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে করতে হবে। সেই সঙ্গে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন আধিকারিকের যাতায়াত অবরুদ্ধ করা যাবে না। পাশাপাশি পড়ুয়াদের যা দাবি রয়েছে তা ১০ দিনের মধ্যে হলফনামা আকারে আদালতে জমা দিতে হবে। যদিও এই নির্দেশের পরেও বিশ্বভারতীতে পঠনপাঠন কবে চালু হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। যদিও সূত্রে জানা গিয়েছে, আদালতের নির্দেশের পরে এদিন থেকেই পঠনপাঠন চালু করার চেষ্টা করতে পারে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্বভারতীতে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ(Student Agitation) এখনও চলছে। কার্যত এদিন তা চতুর্থ দিনে পা রাখল। পড়ুয়াদের বিক্ষোভে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সেন্ট্রাল অফিসে আটকে রয়েছেন বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার, জনসংযোগ আধিকারিক ও জয়েন্ট রেজিস্ট্রার। বিক্ষোভের দরুন আটকে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত রকমের প্রশাসনিক কাজও। থমকে রয়েছে পঠন-পাঠনও। বিক্ষোভকারীদের মূলত তিনটি দাবি। প্রথমটি, অবিলম্বে হস্টেল খুলতে হবে। দ্বিতীয়ত, দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে ক্লাস নিয়ে অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। তৃতীয়ত, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সূচি বদল করতে হবে। বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, তাঁদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আর সেই আন্দোলনের জেরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল অফিসে আটকে আছেন রেজিস্ট্রার আশিস আগরওয়াল(Asish Agarwal) ও ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ। গত সোমবার থেকেই এই বিক্ষোভের দরুন পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস তো বন্ধই করে দিয়েছে, সেই সঙ্গে সঙ্গীতভবন সহ সব দফতরেই তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। সূত্রের দাবি পড়ুয়াদের বিক্ষোভে বেশ কিছু কর্মীও আটকে আছেন।

কিন্তু মজার কথা, গত সোমবার অশান্তির আঁচ পেয়ে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী(Vidyut Chakrabarty) বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ছেড়ে রীতিমত গা ঢাকা দেন। পরে জানা যায় তিনি সোজা দিল্লি চলে গিয়েছেন। সেখান থেকে বসে বসে তিনি নির্দেশ দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকেরা কে কী করবেন। সূত্রে জানা গিয়েছে, উপাচার্য কোনও সিদ্ধান্ত নিতে বারণ করেছেন বিশ্বভারতীর আধিকারিকদের। বিভাগীয় প্রধানদের রাতভর সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতেই থাকার কথা বলা হয়েছে। পড়ুয়ারা আন্দোলন প্রত্যাহার করলে তবেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসবে বলে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের। যদিও এদিন আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে তারপর পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দেবাশিষের সুপ্রিম ধাক্কা, কমিশনের সিদ্ধান্তে সিলমোহর শীর্ষ আদালতের

ভারতীয় রাজভবন- জাদুঘর উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি, তদন্তে লালবাজার 

সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের অধ্যক্ষার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

মন্ত্রী- বিধায়কদের জন্য সুখবর, মে মাসেই  পেতে চলেছেন বকেয়া-সহ বর্ধিত বেতন

হাইকোর্টেই বিক্ষোভের মুখে বিকাশ, শুনলেন ‘চাকরিখেকো’ শ্লোগান

কেন্দ্রের সরকারই থাকবে কিনা সন্দেহ, আবার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা, হাসছে তামাম বাংলা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর