নিজস্ব প্রতিনিধি: যোগী (YOGI) সরকার মানেই বুলডোজার (bulldozer) সরকার। আর সরকারের বুলডোজার পদক্ষেপ নিয়ে বিতর্ক কম নেই। ‘বুলডোজার নীতি’ নিয়ে বারবার হয়েছে সমালোচনা। আর সেই সরকার গড়ার কথা এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (SUVENDU ADHIKARY) মুখে। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে জোর সমালোচনা। মঙ্গলবার বাঁকুড়া থেকে এই ঘোষণা করেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।
বাঁকুড়া জেলার তামলিবাঁধ এলাকায় সভা ছিল বিজেপির। সেখানেই উপস্থিত হয়ে শুভেন্দু অধিকারী উস্কে দিলেন বুলডোজার নীতি। পয়গম্বর বিতর্কে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে হাওড়া, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার একাংশে। বিতর্কের সূত্রপাত বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বক্তব্যের কারণেই। হিংসা দমন প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, যোগীজি পিঠে ডাণ্ডা ফেলে বুলডোজার চালাচ্ছেন। আর এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হাতজোড় করে বলছেন তোমরা ওঠো। এরপরেই বলেন, যতদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (MAMATA BANERJEE) থাকবেন, ততদিন সীমান্ত দিয়ে ঢুকবে রোহিঙ্গারা। তারপরেই বলেন, ‘আসুন গেরুয়া ডাণ্ডা শক্ত করে বুলডোজার সরকার আনি’। বলেন, এতেই সরবে আবর্জনা।
তাঁর বক্তব্যে ফের নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই যোগী রাজ্যেই ‘আবর্জনা’ বলে বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বুলডোজার দিয়ে। দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরেও বুলডোজার বিতর্ক বিজেপিকে ঘিরে। বিজেপি আর বুলডোজার যেন সমার্থক হয়ে উঠছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মঙ্গলবারের মন্তব্যে ফের শুরু হয়েছে বিতর্ক। শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য বলেন, হিংসা দমনে বুলডোজার প্রসঙ্গ এনেছেন তিনি। রাজ্যের প্রশাসন এবং রাজ্যের শাসক শিবির শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। দাবি, হিংসা দমনে রাজ্যের ভূমিকা প্রশংসনীয়। উল্লেক্ষ্য, পুলিশ (POLICE) হিংসা দমনে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ২০০ জনেরও বেশি অপরাধীকে। কড়া শাস্তির কথা বলা হয়েছে। অনেকটাই স্তিমিত উত্তেজনা। সবুজ শিবিরের (TMC) বক্তব্য, ফের উস্কানিমূলক মন্তব্য করে হিংসার রাজনীতি করতে চাইছে বিজেপি।