নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বাঙালির জ্ঞানচর্চার বাতিঘর, প্রাচ্যের কেম্ব্রিজ হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (Dhaka University) আজ শুক্রবার ১০২ বছরে পদার্পণ করল। আর জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে কাটা হল ১০২ পাউন্ডের বিশাল কেক (Cake)। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান (Mohammad Akhtaruzzaman)। জন্মদিন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে অশিক্ষক কর্মচারিদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ (President Abdul Hamid), প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Bangladesh Prime Minister Sk. Hasina)।
অবিভক্ত ভারতে পূর্ব বাংলায় শিক্ষাবিস্তারে ১৯২১ সালের পয়লা জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তার পর থেকে শিক্ষামহলে প্রাচ্যের কেম্ব্রিজ হিসেবেই পরিচিত হয়ে উঠেছিল। শুধু শিক্ষার ক্ষেত্রেই নয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের ক্ষেত্রেও বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল দেশের প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ব্রিটিশ বিরোধী অসহযোগ আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলা ভাষার স্বীকৃতির দাবিতে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এমনকী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কেরিয়ারের পরোয়া না করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্ররা দেশ স্বাধীনের লক্ষ্যে অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। বাংলাদেশ সৃষ্টির পরেও নব্বইয়ের দশকে হুসেন মুহম্মদ এরশাদের (H M Ershad) নেতৃত্বাধীন সামরিক মদতপুষ্ঠ সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতেও বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।
যদিও রাজনৈতিক কারণে গত কয়েক বছর ধরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিজের অতীত গৌরব হারিয়ে ফেলেছে। বিশ্বের সেরা ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাতেও ঠাঁই পায়নি একদা প্রাচ্যের কেম্ব্রিজ হিসেবে পরিচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। যদিও এদিন ১০২তম জন্মদিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Dhaka University) উপাচার্য (Vice Chancellor) মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান (Mohammad Aktaruzzaman) আশাপ্রকাশ করেছেন, আগামী কয়েক বছরে ফের হারানো গৌরব ফিরে পাবে বাংলাদেশের গর্বের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।