এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

ভাঙড়ে প্রশাসন- আন্দোলনকারীদের বৈঠক, মিলেছে সমাধানসূত্র

নিজস্ব প্রতিনিধি: ভাঙড়ের (BHANGAR) অসন্তোষ প্রশমনে উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। বুধবার পাওয়ারগ্রিড (POWER GRID) প্রকল্প নিয়ে আলোচনায় বসা হয় প্রশাসন ও আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক। দীর্ঘ সময় ধরে চলে বৈঠক। আধিকারিকরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে শোনেন আন্দোলনকারীদের কথা। জানা গিয়েছে, বৈঠক ইতিবাচক।

পাওয়ারগ্রিড প্রকল্পকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হতে শুরু হয়েছিল ভাঙড়। সেই বিক্ষোভ প্রশমনে বিশেষ বৈঠকের (MEETING) আয়োজন করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বৈঠক হয় দ্বিপাক্ষিক। উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনের আধিকারিক এবং জমিরক্ষা কমিটির প্রতিনিধিরা। বৈঠক করা হয় বারুইপুর মহকুমা অফিসে। জানা গিয়েছে, দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা ধরে চলেছে বৈঠক। এই বৈঠক ইতিবাচক বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক (DM)।

 প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রকল্প নিয়ে যা বার্তা দেওয়ার তা দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের বোঝানো হয়েছে। সকলের সমস্ত কথা মন দিয়ে শোনা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আরও কিছু সময় দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে হিমঘরের জমি না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আপাতত আন্দোলন প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। হাতে থাকছে এখনও বেশ কিছু দিন সময়।

দুই পক্ষ থেকেই জানা গিয়েছে, বিক্ষোভ প্রশমিত হয়েছে। উল্লেখ্য,  সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে আবারও অশান্ত হয়ে ওঠার ছবি ধরা পড়েছে ভাঙড়ের বুকে। মঙ্গলবার সকালে কলকাতার অদূরে থাকা ভাঙড়ে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে পাওয়ার গ্রিড(Power Grid) আন্দোলন। এদিন সকালে পাওয়ার গ্রিডের গেটে তালা লাগিয়ে নতুন করে আন্দোলন শুরু করে জমি কমিটি। তাদের মূল দাবি ভাঙড়ের জমি-জীবিকা-বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সঙ্গে রাজ্য সরকার(State Government) যে চুক্তি করেছিল, তা মানা হয়নি। সেই দাবি আদায়ের লক্ষ্যেই এদিন অবস্থান বিক্ষোভের পথে নেমেছেন আন্দোলনকারীরা, এমনটাই তাঁরা জানিয়েছেন। দাবিপূরণ না হওয়া অবধি যে এই আন্দোলন চলবে তা জানিয়ে দিয়েছে কমিটি। আর এই ঘটনা দেখেই রাজ্য সরকারের তরফে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন, পরিবহণ ও আবাসন দফতরের মন্ত্রী (MINISTER) ফিরহাদ হাকিম (FIRHAD HAKIM)।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে পাওয়ার গ্রিড স্থাপনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। পরে বহু প্রচেষ্টায় সেই অশান্তিকে শান্ত করতে সক্ষম হয় রাজ্য সরকার। সেই সময়েই এলাকার উন্নয়ন নিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদিত হয় রাজ্য সরকারের। তারপর মঙ্গবার সকালে দেখা যায়, পাওয়ার গ্রিড প্রকল্পের গেটে তাঁরা তালা ঝুলতে। সরকারি চুক্তি অনুযায়ী সমস্ত দাবি পূরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন জমি রক্ষা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মির্জা হাসান।

উল্লেখ্য, পাওয়ার গ্রিড নিয়ে এক সময় আন্দোলনের ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। গত মঙ্গলবার সেই চেনা ছবি দেখা যায় খামারআইট, পদ্মপুকুর এলাকায়। এ নিয়ে ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের মত, ‘অহেতুক আন্দোলন করছে জমি কমিটির লোকজন। তাঁদের সব দাবিই মেনে নেওয়া হয়েছিল। মানুষ ক্ষতিপূরণ পেয়ে গিয়েছেন। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এই পরিস্থিতিতে এলাকা অশান্ত করার চেষ্টা চলছে।’ তবে এদিন আন্দোলনকারীদের কড়া বার্তা দিয়েছিলেন ফিরহাদ। তিনি বলেছিলেন, ‘রাজ্য সরকার কোনও চুক্তিই লঙ্ঘণ করেনি। কিন্তু আন্দোলনকারীদের এটা বুঝতে হবে যে চুক্তি হয়ে গেল মানেই রাতারাতি এলাকার ভোল বদলে গেল এমন নয়। রাজ্য সরকারকে সময় দিতে হবে। ওই এলাকার উন্নয়নের জন্য যা যা করার দরকার তা করা হবে। সেই প্রক্রিয়া আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে। আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ধরতে হবে। আর কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে এলাকা নতুন করে অশান্ত করে তোলার চেষ্টা করে তাহলে রাজ্য সরকারও তা কড়া ভাবেই বুঝে নেবে।’

তারপর আজ, বুধবার হল প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠক। যা ইতিবাচক বলেই দাবি প্রশাসনের।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বন্ধু কাঞ্চনকে সঙ্গে নিয়ে কেশপুরে ভোট প্রচারে দেব

ধারের টাকা ফেরত না দেওয়া নিয়ে বচসা, মা-মেয়েকে পিটিয়ে খুন

৭ দিনের মধ্যে মুখোশ খুলব, টুইটে হুঁশিয়ারি অভিষেকের

‘মায়ের ঝাণ্ডার কি দাম! যে কড়াইয়ে রান্না করেন, তা মাথায় মারলে বুঝবি’

‘চলুন বদলাই, চলুন পাল্টাই’, মালদায় মমতার মুখে পরিবর্তনের ডাক

দেবাশিষের সুপ্রিম ধাক্কা, কমিশনের সিদ্ধান্তে সিলমোহর শীর্ষ আদালতের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর