এই মুহূর্তে




অপারেশন ডেভিল হান্টে ৭ দিনে গ্রেফতার ৩,৯২৪ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: দেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নিকেশ অভিযানে জোর কদমে ঝাঁপাল মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার। গত সাতদিন ধরে দেশে গণহারে গ্রেফতার করা হচ্ছে প্রাক্তন শাসকদলের নিরীহ নেতা-কর্মীদের। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও ৫০৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে গত সাতদিনে ৩ হাজার ৯২৪ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ বেছে-বেছে কেন শেখ হাসিনার দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তা জানতে চাওয়া হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তথা জামায়াত ইসলামীর মজলিশ সুরার সদস্য জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর জবাব, ‘বাংলাদেশের মাটিতে আওয়ামী লীগকে আর রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। পাকিস্তান ভাগের ষড়যন্ত্রকারীরা আমাদের কাছে মূর্তিমান শয়তান। তাই অপারেশন ডেভিল হান্টে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।’

গত ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের স্থপতি তথা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয় পাকিস্তানপন্থী সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটি ও হিযবুত তাহরীর জঙ্গিরা। শুধু বঙ্গবন্ধুর বাড়িই নয়, সারা দেশেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার মতো ধ্বংসযজ্ঞে নামে। তারই অংশ হিসাবে গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি)  গাজীপুরে হাসিনা জমানার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে গণপিটুনি খায় হিযবুতের ছাত্র সংগঠনের জনা ১৫ জঙ্গি। তিনজনের ভবলীলা সাঙ্গ হয়েছে। অর্থাৎ তিন জঙ্গিকে পিটিয়ে মেরেছেন সাধারণ মানুষ। আর তাতেই আঁতে ঘা লেগেছে জঙ্গিদের মদতদাতা মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তথা জামায়াত ইসলামীর মজলিশ সুরার সদস্য জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর। গাজীপুরের ঘটনার পর দেশজুড়ে হিযবুত জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মানুষ জেগে উঠতে পারে এমন আশঙ্কাতে রাতারাতি ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে আওয়ামী লীগ নিধন যজ্ঞ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার তথা জামায়াত ইসলামীর সশস্ত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের শীর্ষ নেতার দায়িত্ব সামলানো নাজমুল করিম খান শনিবার হিযবুত জঙ্গিদের এক সভায় মোল্লা ইউনূস সরকারের অপারেশন ডেভিল হান্টের আসল রহস্য ফাঁস করে দেন।

যদিও আওয়ামী নিধন যজ্ঞ অপারেশন ডেভিল হান্টে সামিল হয়নি সেনাবাহিনী। হিযবুত তাহরীর জঙ্গিদের রক্ষা করতে মোল্লা ইউনূসের অপারেশনের কথা জানতে পেরেই শনিবার রাতে ঢাকার সেনাঘাঁটিতে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ জামানের সঙ্গে দেখা করেন দুই লেফটেন্যান্ট জেনারেল, সাত মেজর জেনারেল, ৯ বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সহ শতাধিক সেনা আধিকারিক। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এমনিতেই বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি-সহ বাংলাদেশ জুড়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি ও কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা রুখতে না পারার জন্য সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি দেশবাসীর কাছে কলঙ্কিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ সেনা কলঙ্কিত হয়েছে। তাই অপারেশন ডেভিল হান্টের নামে আওয়ামী লীগ নিধন যজ্ঞে সামিল হয়ে সেনাবাহিনীর গায়ে নতুন করে কাদা লাগানো যাবে না। সেনা আধিকারিকদের ওই ক্ষোভ জানতে পারার পরেই সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ জামান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসকে সাফ জানিয়ে দেন, অপারেশন ডেভিল হান্টে সামিল হবে না সেনা। অপারেশন যদি সত্যিকারের পরিচালনা করতে হয়, তাহলে তোলাবাজ ও দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের প্রথমে গ্রেফতার করতে হবে।

সেনাকে বাদ রেখেই শনিবার থেকে দেশ জুড়ে আওয়ামী লীগ নিধন যজ্ঞে নেমে পড়ে পুলিশ র‍্যাব ও বিজিবি। নিরীহ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়। এমনকি আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের খুঁজে না পেয়ে বাড়ির মহিলাদের শ্লীলতাহানিও করে যৌথবাহিনীর সদস্যরা। শুক্রবারই (১৪ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগ নিধন যজ্ঞের সাতদিন পূর্ণ হয়েছে। আর ওই সাতদিনে কত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা সগর্বে ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা নেই, জানিয়ে দিলেন ইউনূস

বাংলাদেশে কাঁকড়ার ব্যবসা করবেন ট্রাম্প,লাইসেন্স মঞ্জুর করল ইউনূস সরকার

বঙ্গবন্ধুর কবরে শ্রদ্ধা জানানোর অপরাধে অপসারিত বাংলাদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি

হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে ‘শহিদ’ বাবা, ইউনূস জমানায় গণধর্ষণের শিকার মেয়ে

পড়ানোর অছিলায় সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণ, ‘নরপিশাচ’ গৃহশিক্ষককে চরম সাজা আদালতের

‘রাজধর্ম’ পালন না করতে পারলে সরে দাঁড়ান, ইউনূসকে কড়া বার্তা সেনাপ্রধানের

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর