এই মুহূর্তে




 চট্টগ্রামের পর নেত্রকোনায় বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে হামলা চালাল খালেদার দলের গুন্ডারা




নিজস্ব প্রতিনিধি, নেত্রকোনা: জামায়াত ইসলামী বা মৌলবাদী কোনও সংগঠন নয়, বাংলাদেশে বর্ষবরণের একের পর এক অনুষ্ঠান ভণ্ডুল করে দিল বিএনপির সন্ত্রাসীরা। রবিবার রাতে চট্টগ্রামের ডিসি হিলে পয়লা বৈশাখের মঞ্চ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল খালেদার দলের নেতা-কর্মীরা। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে সোমবার দুপুরে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলায় বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের মাঝপথে হামলা চালাল বিএনপির গুন্ডারা। মঞ্চ থেকে শিল্পীদের জোর করে নামিয়ে দিয়ে হেনস্থা করা হয়েছছে। বাধা দিতে গিয়ে নিগৃহীত হয়েছেন উপজেলা নির্বাহী আধিকারিক। বাংলাদেশের মাটিতে হিন্দুত্বের গন্ধ থাকা কোনও অনুষ্ঠান পালন করা যাবে না বলে হুমকিও দিয়েছে। দলের নেতা-কর্মীদের হামলাকে সরাসরি সমর্থন জানিয়েছেন বিএনপির অন্যতম শীর্ষ নেতা রুহুল কবীর রিজভি।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে এদিন সকাল থেকেই আটপাড়া উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মুক্তমঞ্চে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান চলছিল। বিভিন্ন সামজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ‘উপজেলা প্রশাসন বিদ্যানিকেতন’ এর শিক্ষার্থীরা নৃত্য পরিবেশন করছিল।তখনই অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হয় বিএনপির যুব সংগঠনের উপজেলা সদস্য সচিব নূর ফরিদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোদাচ্ছের হোসেন ওরফে কাইয়ুম, কামাল হোসেন তালুকদার-সহ বেশ কয়কজন গুন্ডা। সরাসরি মঞ্চে উঠে অনুষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেয়। তখন উপজেলা নির্বাহী আধিকারিক রুয়েল সাংমা প্রতিবাদ জানিয়ে জানতে চান-কেন অনুষ্ঠান বন্ধ করতে হবে? জবাবে যুবদলের সদস্য সচিব নূর ফরিদ খান বলেন, হিন্দুত্বের গন্ধ থাকা কোনও অনুষ্ঠান বাংলাদেশের মাটিতে করতে দেওয়া হবে না।

এর পরেই মোদাচ্ছের হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপির গুন্ডারা মঞ্চে ওঠে শিক্ষার্থীদের নামিয়ে দিয়ে মঞ্চে থাকা ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন। বাধা দিতে গেলে ইউএনও-সহ সরকারি আধিকারিকদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ দেওয়ার পাশাপাশি মারধরও করা হয়। বিএনপি গুন্ডাদের রুদ্রমূর্তি দেখে ভয়ে অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে পালিয়ে চলে যান শিল্পী-সহ দর্শকরা। অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়।

বিএনপি গুন্ডাদের তাণ্ডব নিয়ে আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুয়েল সাংমা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব নূর ফরিদের নেতৃত্বে কাইয়ুম, কামালসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী উপস্থিত হয়ে মঞ্চের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন। এ সময় আমি কারণ জানতে চাইলে আমাকে-সহ কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেন। উপস্থাপককে মারধর করে মাইক হাতে নিয়ে আমাকে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে আখ্যায়িত করেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

বর্ষবরণের অনুষ্ঠান পণ্ড কেন করলেন জানতে চাওয়া হলে হামলার নেতৃত্ব দেওয়া নূর ফরিদ ঔদ্ধত্যের সঙ্গে বলেন, ‘বেশ করেছি। বাংলাদেশে আর কখনও হিন্দুত্বের গন্ধ থাকা অনুষ্ঠান করা যাবে না। যারা করার চেষ্টা করবে তাদের মেরে হাড়গোড় গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘ধর্মবিরোধী’ অভিযোগে গ্রন্থাগার থেকে নজরুল-রবীন্দ্রনাথের বই লুট করল মৌলবাদীরা

করমর্দনের জন্য হাত বাড়ালেন মোল্লা ইউনূস, পাত্তাই দিলেন না ট্রাম্প

বদলের বাংলাদেশে ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনের শহিদের কন্যার আত্মহত্যা

প্রথমবার ঢাকাই সিরিজে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, সঙ্গী চঞ্চল চৌধুরী

সীমান্তে যুদ্ধের পদধ্বনি, ঢাকা সফর বাতিল পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রীর

বাবাকে দিয়ে তোলা আদায়, কীর্তি ফাঁস হতেই ক্ষমা চাইলেন ইউনূসের যুব উপদেষ্টা

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর