নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ১০ বছর আগে ২০১৩ সালে রাজধানীর শাহ আলী থানার অ্যাসিট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর হুমায়ুন কবিরকে (৪৪) নৃশংসভাবে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মডেল তথা অভিনেত্রী ফজিলাতুন্নেছা ওরফে রিয়া ওরফে সুহাসিনী ওরফে অধরাকে (২৯) গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজধানীর মেরুল বাড্ডা সুবাস্ত টাওয়ার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময়ে তার কাছ থেকে ৫৮ গ্রাম গাঁজা, দুটি মোবাইল ফোন ও পরিচয় পরিবর্তনের উদ্দেশে তৈরি জাল এসএসসি সার্টিফিকেট উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, ২০১৩ সালে মিরপুরের পূর্ব মনিপুরের একটি বাড়ি থেকে শাহ আলী থানায় কর্মরত এএসআই হুমায়ুন কবিরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে শ্বাসরোধ ও বিষ ইনজেকশন দিয়ে খুন করেন তারই স্ত্রী রহিমা সুলতানা রুমি ও তার বন্ধু মিষ্টি। আর ওই হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করেন ফজিলাতুন্নেছা ওরফে রিয়া ওরফে সুহাসিনী ওরফে অধরা (২৯)। পুলিশের পক্ষ থেকে তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশটি জমা দেওয়া ২০১৭ সালের ৩০ মে ঢাকার চার নম্বর ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রহমান সরদার এএসআই হুমায়ুন কবীরকে খুনের দায়ে তাঁর স্ত্রী তথা ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্লেশনের নার্স রহিমা সুলতানা রুমি তার বন্ধু রাফা এ মিষ্টিকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনান আর ফজিতুলান্নেছাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
হুমায়ুন কবীরের হত্যাকাণ্ডের পর ঢাকা থেকে পালিয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি পোশাক তৈরির কারখানায় গার্মেন্টসকর্মী হিসেবে চাকরি নেন ফজিলাতুন্নেছা ওরফে রিয়া। ২০১৫ সালে ঢাকায় একটি মাল্টিমিডিয়া সংস্থায় সেলসগার্লের চাকরিতে যোগ দেন। ২০১৬ সাল থেকে মডেল ও অভিনেত্রী হিসেবে চিত্রজগতের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। মডেল হিসেবের আত্মপ্রকাশের পরে নিজের নাম পরিবর্তন করে সুহাসিনী অধরা রাখেন ফজিলাতুন্নেছা। বাড্ডার সুবাস্ত টাওয়ারে নতুন ঘাঁটি গাড়েন।