নিজস্ব প্রতিনিধি, বাগেরহাট: চলতি বছরেও বাগেরহাটের শিকদার বাড়িতে (Bagerhat Shikdar Bari) সাড়ম্বরে পালিত হবে না দুর্গোৎসব। ঘট পুজোর মাধ্যমেই চলতি বছর মায়ের আরাধনা করা হবে। এ নিয়ে টানা তিন বছর এশিয়ার সবচেয়ে বড় দুর্গোৎসব কাটছাঁট করা হল। আর এ খবরে কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পর্যটক ও দর্শকরা। গত দুই বছর করোনাভাইরাসের কারণে এশিয়ার বৃহত্তম দুর্গাপুজো আয়োজন করা হয়নি। কিন্তু চলতি বছর কেন ঘটে পুজো করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল তা নিয়ে স্পষ্ট করে কোনও জবাব দেননি শিকদার বাড়ির সদস্যরা।
১১ বছর আগে ২০১১ সালে বাগেরহাট সদর উপজেলার হাকিমপুর গ্রামে শিকদার বাড়ির (Shikdar Bari) পারিবারিক পুজোমণ্ডপে বিভিন্ন দেব-দেবীর ২৫১টি প্রতিমা সাজিয়ে দুর্গোৎসব শুরু করেন দুলালকৃষ্ণ শিকদার (Dulal Krishna Shikdar)। তার পরে প্রতি বছরই প্রতিমার সংখ্যা বাড়তে থাকে। একই ছাদের নিচে একই সঙ্গে কয়েকশো প্রতিমা চাক্ষুষের লোভ সামলাতে না পেরে দেশ-বিদেশের বহু পর্যটক ভিড় জমাতেন। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে পুজো এগিয়ে নিয়ে যান দুলালবাবুর ছেলে তথা বিশিষ্ট শিল্পপতি লিটন শিকদার (Liton Shikdar)। গত ২০১৯ সালে শেষ বারের মতো সাড়ম্বরে দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। ওই বছর পুজোমণ্ডপে ৮০১টি প্রতিমা সাজিয়ে উৎসবের আয়োজন করা হয়। পুজোর তিন থেকে চার মাসে আগে শুরু হত প্রস্তুতি। শিকদার বাড়ির পুজো উপলক্ষে এলাকায় বিশেষ মেলাও বসত। শুধু হিন্দুরাই নন, মুসলিমরাই এশিয়ার সবচেয়ে দুর্গোৎসবের সাক্ষী হতে ছুটে আসতেন।
শিকদার বাড়ির অন্যতম সদস্য শিশির শিকদার জানিয়েছেন, ‘চলতি বছরেও দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে না। শুধু রীতি মেনে ঘট পুজোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু পরিবারের সদস্য ও নিমন্ত্রিত অতিথিদের উপস্থিতিতে অনাড়ম্বরভাবে পুজোর আয়োজন করা হবে।’ আয়োজকদের এমন সিদ্ধান্তে কার্যত হতাশা নেমে এসেছে।