নিজস্ব প্রতিনিধি, রংপুর: ১৭ তম স্ত্রীকে খুনের দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছে আদালত। যদিও একই মামলায় অভিযুক্ত ১৮তম স্ত্রীকে বেকসুর খালাস দে্ওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম আলি আহমেদ ওই রায় দিয়েছেন। যদিও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী আবু সাঈদ পলাতক।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, একের পর এক বিয়ে করে অর্থ আদায় করার কৌশল ছিল রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার পালগড় গ্রামের বাসিন্দা আবু সাঈদের। প্রায় ১৭ বছর আগে একই উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা তানজিনা খাতুনকে বিয়ে করেন। তানজিনা ছিলেন তার ১৭ তম স্ত্রী। কিছুদিন বাদে তাছকিয়া বেগম নামে আরও একজনকে বিয়ে করেন। ২০০৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পণের দাবিতে ১৭তম স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন করেন আবু সাঈদ। তাকে সহযোগিতা করেন ১৮তম স্ত্রী তাছকিরা। তানজিনাকে মৃতদেহ পাশের ধানখেতে ফেলে পালিয়ে যান সীদ। দুদিন বাদে মেয়েকে খুনের অভিযোগে সাঈদ ও তার নববিবাহিতা স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন তানজিনার বাবা তাজিমউদ্দিন।
তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্ত আবু সাঈদকে গ্রেফতার করে। বেশ কয়েক বছর জেল খাটার পরে ২০১০ সালের জুলাই মাসে জামিন পাওয়ার পরেই গা ঢাকা দেয়। কিছুদিন বাদে জামিন পেয়ে গা ঢাকা দেন আর এক অভিযুক্ত তথা আবু সাঈদের ১৮তম স্ত্রী তাছকিরা বেগম। এদিন রায় দানের সময়ে দুজনেই আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সরকারি আইনজীবী।