নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য শুক্রবার শেষ হল প্রচার। যদিও প্রচার শেষ হওয়ার পরেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় নির্দল ও অন্যান্য প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছে শেখ হাসিনার দলের পোষ্য গুন্ডারা। একাধিক জায়গায় নির্দল প্রার্থীর কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ থেকে শুরু করে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। আর ওই ভাঙচুর ও আক্রমণ চালানোর সময়ে নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়েছিল শাসকদল আওয়ামী লীগের পোষ্য বাহিনী হিসাব্বে পরিচিত পুলিশ ও সেনা জওয়ানরা। আওয়ামী গুন্ডারা যেভাবে নখদাঁত বের করে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তাতে অনেক নির্দল প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা প্রাণ ভয়ে এলাকা ছেড়েছেন।
প্রচার পর্বেই যে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে এবং রক্ত ঝরেছে তাতে ভোটের দিন রক্তের গঙ্গা বইয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। পুলিশ ও প্রশাসনের সাহায্যে যেভাবে আওয়ামী লীগের গুন্ডারা আগ্নেয়াস্ত্র হাতে এলাকায়-এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তাতে শেষ পর্যন্ত ভোটের দিন বুথে এজেন্ট বসানো নিয়েও শঙ্কায় ভুগতে শুরু করেছেন নির্দল ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা।
এদিকে আগামী রবিবার জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে ভোট নেওয়া হবে। মোট ৪২ হাজার ১৪৯টি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে। তার মধ্যে ১০,৫৩০টি কেন্দ্রকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অর্থাৎ প্রতি চারটি কেন্দ্রের মধ্যে একটি অতি স্পর্শকাতর। ওই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে অশান্তি রুখতে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশন। ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসাবে চিহ্নিত কেন্দ্রগুলিতে ৪ জন অস্ত্রধারী পুলিশ-সহ মোট ১৬ জন নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করা হচ্ছে। দেশের মহানগরগুলির (ঢাকা, খুলনা, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম) বুথ পাহারায় রাখা হচ্ছে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা বাহিনী। তার মধ্যে চার জন অস্ত্রধারী থাকছে। বাকিরা লাঠিধারী।
’