নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: রাজনৈতিক সৌজন্যের নজির রেখে আগামী ২৫ জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর (Padma Bridge) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাত বিএনপি (BNP) নেতাকে বুধবার দুপুরেই আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দিয়েছিলেন সেতু বিভাগের আধিকারিকরা। আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই অসৌজন্যের পথে হেঁটে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কটের কথা জানিয়ে দিল খালেদা জিয়ার (Khaleda Zia) দল। এদিন সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব (BNP Secretary General) মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (Mirza Fakhrul Islam Alamgir) বলেন, ‘যে সরকার মানুষকে হত্যা করে, যে সরকারের প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের নেত্রীকে পদ্মায় ডুবিয়ে মেরে ফেলার কথা বলেন, সেই সরকারের অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সামিল হওয়ার প্রশ্নই নেই।’
আগামী ২৫ জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন। আর গর্বের মুহুর্তকে ঐতিহাসিক করতে কোমর কষে ঝাঁপিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। দেশের মানুষের মাথা উঁচু করা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক বৈরিতা ভুলে সব বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিন দুপুরে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে দলের সাত শীর্ষ নেতার আমন্ত্রণপত্র তুলে দেওয়া হয়। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম থান ও ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
বিএনপির সিদ্ধান্তের মধ্যে অস্বাভাবিকতা নেই বলেই মনে করেন প্রাক্তন সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বদিউর রহমান। তাঁর কথায়, ‘পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন বিএনপি নেতারা। বিদেশি অর্থ সাহায্য যাতে না পাওয়া যায়, তার জন্য কলকাঠি নেড়েছিলেন। পদ্মা সেতু নির্মাণের সময়ে লাগাতার অপপ্রচার চালিয়ে গিয়েছেন। এখন কোন মুখে হাজির হবেন?’