নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: দেশের পরবর্তী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার নির্বাচন কমিশনারকে বাছাই করতে শনিবার সার্চ কমিটি গঠন করা হলো। ছয় সদস্যের কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন এবং কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক। আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে পাঁচ নির্বাচন কমিশনার পদের জন্য ১০ জনের নাম জমা দিতে হবে সার্চ কমিটি।
যদিও নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা সার্চ কমিটির সমালোচনায় সরব হয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি’র শীর্ষ নেতারা। সার্চ কমিটি গঠনকে শাসকদল আওয়ামী লীগের ভোট চুরির প্রজেক্ট হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন তাঁরা। যদিও বিরোধী দলকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন শাসকদলের নেতারা। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া বিএনপি নেতাদের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি শালীনতা আশা করা যায় না।’
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তাই নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বাছাই করতে সার্চ কমিটি গঠন করা হলো। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে পাঁচ নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যাঁদের নাম জমা দেওয়া হয়েছিল সেই নামের তালিকা থেকে ১০ জনকে বেছে নেবেন সার্চ কমিটির সদস্যরা। ওই দশজনের তালিকা থেকে একজনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজনকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি।