নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: পাহাড়ি ঢাল বেয়ে আসা বৃষ্টির জলে দেশের উত্তরাঞ্চলের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতির (Flood Situation) আরও অবনতি ঘটেছে। তিস্তা (Tista River) সহ একাধিক নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সিলেট, সুনামগঞ্জ, কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। সিলেটে টানা কয়েক ঘন্টা বাদে ফের বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু হলেও জলে ডুবে যাওয়ায় ব্যাঙ্কিং (Banking Work) কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। টানা তিনদিন ব্যাঙ্কিং পরিষেবা বন্ধ থাকায় চরম অর্থসঙ্কটে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অসম ও মেঘালয় থেকে আসা বৃষ্টির জলে একাধিক এলাকা প্লাবিত হওয়ায় শুধু কুড়িগ্রামে (Kurigram) নতুন করে জলবন্দি হয়ে পড়েছেন ৯ লক্ষ বাসিন্দা। খরস্রোতা তিস্তার প্রবল ভাঙনে একাধিক ঘরবাড়ি জলের তলায় চলে গিয়েছে। গৃহহীন ও আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। সেই সঙ্গে খাদ্যসঙ্কটও দেখা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Prime Minister Sk. Hasina) ইতিমধ্যেই নির্দেশ বন্যার জল সরাতে প্রয়োজনে রাস্তা কেটে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা সিলেটের (Sylhet)। জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় জলবন্দি হয়ে পড়েছেন ৫০ লক্ষ বাসিন্দা।কোথাও কোথাও হাঁটু জল, আবার কোথাও কোমর পর্যন্ত। বিদ্যুৎ নেই। মোমবাতিও মিলছে না। উপরন্তু মোবাইল নেটওয়ার্ক স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। তার মধ্যে মুষলধারে বৃষ্টি ও বজ্রপাত হয়ে চলছে।
অন্যদিকে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়া হাওরে বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ পড়ুয়াকে রবিবার সকালে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। গতকাল শনিবার দুপুরে ‘কপোতাক্ষ অনির্বাণ’ নামে একটি লঞ্চে চেপে রওনা হন। কিন্তু, আচমকা লঞ্চের ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার-সংলগ্ন সুরমা নদীর চরে আটকা পড়েন শিক্ষার্থীরা।