নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: রবিবার ২১ অগাস্ট।
দিনটি এলেই অনেকের মনে পড়ে ২০০৪ সালের কথা। এই দিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা হয়। হামলার লক্ষ্য ছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্য়া শেখ হাসিনা। সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল মুজিব-তনয়ার।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এই দিনটিকে বলা হয় দ্বিতীয় কালা দিন। সপরিবারে মুজিবকে মারার পর এটাই দ্বিতীয় বড় ঘটনা। হাসিনা তখন বিরোধী নেত্রী। পরিকল্পনা করেই তৎকালীন সরকারের মদতে হয়েছে এই হামলা। অভিযোগ তেমনই। খালেদা জিয়ার থেকেও হাসিনার জনপ্রিয়তা প্রথম থেকেই প্রথমে।
তাই, বঙ্গবন্ধু কন্যা যাতে কোনওভাবেই দেশ শাসনের দায়িত্ব গ্রহণ করতে না পারেন, তার জন্য তাকে চিরতরে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে বিএনপি। যদিও তাদের সেই চেষ্টা সফল হয়নি। আজ বাংলাদেশের মসনদে আসীন হাসিনা এবং তাঁর দল। ঘটনার পর কেটে গিয়েছে এক দশকের বেশি। বাংলাদেশে ঘটেছে রাজনৈতিক পালাবদল। না সেই ঘটনা ভুলতে পেরেছেন শেখ হাসিনা না তাঁর দলের কর্মী এবং সমর্থেকরা। হাসিনা এদিন দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে সাফ জানিয়ে দেন, তাঁকে প্রাণে মারতে ছক তৈরি করে বিএনপি।
হাসিনা বলেন – এখনও আমার মনে আছে বিস্ফোরণের পরেও ছিলেন মেজর ডালিম এবং রশিদ। ওরা যখন দেখে যে আমি বেঁচে রয়েছি, তখন ওরা পালায়। হামলার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল আমাকে খুন করে আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে চিরকালের জন্য মুছে ফেলা। সেই চেষ্টা ওদের ব্যর্থ হয়েছে। বাবাকে মেরেও ওদের শান্তি হয়নি।