নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বাংলাদেশের চর্চিত নায়িকা পরীমণি, যাঁর পেশাগত থেকে ব্যক্তিগত সবটাই চর্চিত। চার নম্বর বিয়ের পর ২০২২ সালে পঞ্চম বিয়ে করছিলেন। কিন্তু সেটাও টেকাতে পারলেন না। অভিনেতা শরিফুল রাজের বিরুদ্ধে ৫ টা অভিযোগ এনে ডিভোর্সের নোটিশ পাঠিয়েছেন অভিনেত্রী। মারধর, পরকীয়া-সহ একাধিক অভিযোগ এনেছেন তিনি পঞ্চম স্বামী রাজের বিরুদ্ধে। যদিও গতবছর রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁর বান্ধবীদের আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরেই জানা যায় যে, রাজের ঘর অনেকদিন ছেড়েছেন পরীমণি।
একমাত্র ছেলে পদ্মকে নিয়ে এখন একাই থাকেন। যাই হোক, ছেলের ১ বছরের পরে ক্যামেরার সামনে এসেছেন তিনি। শুরু করেছেন অভিনয়। ইতিমধ্যেই একাধিক ওয়েবসিরিজের কাজ শেষ করে ফেলেছেন অভিনেত্রী। এই মূহুর্তে তিনি আছেন কলকাতায়। এখানে দুটি ছবির শুটিং শুরু করেছেন। কিন্তু তার মধ্যেই বিপাকে পড়লেন অভিনেত্রী। ২০২১ সালে তাঁর বিরুদ্ধে মাদক পাচারের মামলা এখনও চলছে। এছাড়াও তিনি ঢাকা বোট ক্লাবের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এনেছিলেন। সেই মামলাও এখনও চলছে। কিন্তু বারবার হাজিরা এড়চ্ছেন তিনি। এই নিয়ে পরপর তিন দফায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুনানি মুলতবি চেয়ে আবেদন করায় এবার পরীমনিকে এক হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিল ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৯–এর বিচারক শাহানা হক সিদ্দিকা।
বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী। অভিনেত্রীর আইনজীবী বলেছেন, এই মুহূর্তে পেশাগত কারণে কলকাতায় আছেন পরীমণি। তাই নির্ধারিত দিনে তিনি হাজির হতে পারবেন না আদালতে। সেই কারণেই আদালতে সময় চেয়ে আবেদন করেছিলেন অভিনেত্রীর আইনজীবী, আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেই পরীমণিকে এক হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আগামী শুনানির ধার্য তারিখে পরীমনি আদালতে হাজির হবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ২২ সেপ্টেম্বর।
২০২১ সালের ১৪ জুন পরীমনি ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের করে ছিলেন ঢাকা ক্লাবের তিন সদস্যর বিরুদ্ধে। মামলায় তাঁর দাবি, ২০২১ সালের ৮ জুন রাতে তাঁকে কৌশলে সাভারের বিরুলিয়ায় ঢাকা বোট ক্লাবে ডেকে নিয়ে জোর করে মদ পান করানোর চেষ্টা করেছিলেন অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে তাঁকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করা হয়। এরপরেই পরীমণির অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২২ সালের ১৮ মে তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করেন। তবে মামলায় তিন আসামি নিজেদের অপরাধ অস্বীকার করেছেন, উল্টে ঢাকা বোট ক্লাবের ভাঙচুরের জন্যে পরীমণিকে দায়ী করেছেন।