নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: কথায় বলে প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে। মনের মানুষই যে আসলে একজন যৌনলিপ্সু ও প্রতারক, তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার ধামোড় ইউনিয়নের বাসিন্দা দশম শ্রেণির ছাত্রী। দেখা করতে গিয়ে প্রতারক প্রেমিক ও তার বন্ধুর পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকজনের ধর্ষণের শিকার হয়েছে ওই নাবালিকা। গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয় এক বাসিন্দা ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। অভিযোগ পেয়েই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের ধরতে বিশেষ তল্লাশি চালাচ্ছে।
সোমবার পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী জানান, এক বছর আগে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই মালগোবা গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ হাসানের সঙ্গে ধামোড় গ্রামের বাসিন্দা ওই নাবালিকার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত শনিবার সকালে আচমকাই ফোন করে ওই কিশোরীকে পঞ্চগড়ে ডেকে পাঠায় হাসান। বিকেলে পঞ্চগড় পৌঁছলে নির্যাতিতাকে কাজি অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাতে আটোয়ারী উপজেলার বন্দরপাড়া গ্রামে নির্যাতিতাকে নিয়ে যায়। সেখানে হাসান ও তার বন্ধু সবুজ ধর্ষণ করেন তাকে।
আচমকাই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় আব্দুর রহমান, তার ছেলে আমিনুল ইসলাম, নজরুল ও ওমর। অবস্থা বেগতিক বুঝতে পেরে হাসান ও সবুজ পালিয়ে যায়। এর পরে সুযোগ বুঝে আব্দুর রহমানরা ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। অচেতন অবস্থায় এক পথচারী কিশোরীকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা করে। নির্যাতিতা কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে ছয় জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।