নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: সীতাকুণ্ডে (Sitakunda) বেসরকারি কন্টেনার ডিপোতে (Private Container Depot) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্রমশই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। রবিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে আটজনই দমকল কর্মী (Fire Service Employee)। আগুন নেভাতে গিয়ে যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন। গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্য সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে (Army Chopper) ঢাকায় উড়িয়ে আনা হচ্ছে। শনিবারের বিস্ফোরণ শুধু দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা, তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Home Ministry)। আগামিকাল সোমবারই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান (Home Minister Asaduzzaman Khan)।
শনিবার রাত এগারোটা নাগাদ সীতকুণ্ডের বেসরকারি কন্টেনার ডিপোতে লাগা আগুন ১৭ ঘন্টা বাদেও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকল কর্মীদের পাশাপাশি কাজে লাগানো হয়েছে সেনার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের। এখনও পর্যন্ত ডিপোতে মজুত ১,৩০০ কন্টেনার পুড়ে সম্পূর্ণ ছাই হয়ে গিয়েছে। প্রাথমিক অনুমান, অন্তত হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
তবে ডিপো মালিকদের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে বেসরকারি কন্টেনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, সেটির মালিক শাসকদল আওয়ামী লীগের একজন দাপুটে নেতা। আর সেই সুবাদে বিনা অনুমতিতেই ডিপোতে উচ্চ দাহ্য পদার্থ রেখেছিলেন তিনি। তবে ডিপোতে আচমকাই আগুন লাগার ঘটনা নিছকই দুর্ঘটনা বলে মানতে পারছেন না প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। বরং সরকারকে বিড়ম্বনায় ফেলতে নাশকতাও ঘটানো হতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের। সেই কারণেই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আহতদের পরিবারকে এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। শ্রম মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এদিন দুপুরে ওই আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।