নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে নিজের মাকে খুন করে মৃতদেহ পাঁচ টুকরো করার দায়ে গুণধর ছেলেকে ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত। ওই নারকীয় হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করার জন্য আরও ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন নোয়াখালী জেলা আদালতের নিলুফার সুলতানা। পাশাপাশি প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। নিম্ন আদালতের রায়ে সরকারি আইনজীবী সন্তোষ প্রকাশ করলেও খুশি নন আসামী পক্ষের আইনজীবি। নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত নূরজাহান বেগমের দুই বিয়ে। আগের সংসারের ছিলে বেলাল বেশ কয়েক লক্ষ টাকা ধার রেখে মারা যান। ওই ধার শোধের জন্য নূরজাহানের দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে হুমায়ুনকে চাপ দিতে থাকেন পাওনাদাররা। ওই টাকা শোধের জন্য মা ও বেলালের স্ত্রীর ভাগের জমি বিক্রির জন্য চাপ দেন হুমায়ুন কবীর। তাতে রাজি হননি নূরজাহান বেগম। এ নিয়ে মা-ছেলের মধ্যে বিরোধ তুঙ্গে ওঠে। শেষ পর্যন্ত ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে নিজের মা নুরজাহান বেগমকে প্রথমে খুন করেন হুমায়ুন। তার পরে মৃতদেহ পাঁচ টুকরো করে পাশের বিভিন্ন ধান খেতে ফেলে দিয়ে আসেন। মাকে খুন করার পরে ঠাণ্ডা মাথায় থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে হত্যা মামলা দায়ের করেন হুমায়ুন।
তদন্তে নেমে পুলিশ নূরজাহানকে খুনের দায়ে তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে হুমায়ুন সহ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে পাঁচজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ওই জবানবন্দির পরেই উদ্ধার করা হয় খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র। মোট ২৭ জন মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।