নিজস্ব প্রতিনিধি: শারদোৎসব মানে অকাল বোধন। রামচন্দ্র এই ষষ্ঠীতেই বোধন করেছিলেন দেবী দুর্গাকে (DURGA)। রাবণের স্তুতিতে দেবী চণ্ডী যখন কালী রূপে রাবণের সহায় হন, তখন রাম অকাল বোধন করেন দেবী দুর্গার। কারণ দুর্গাই যে কালী, তিনিই যে চণ্ডী, তিনি শিবা। বলা হয়, দেবী দুর্গা, মহালক্ষ্মী এবং মহাসরস্বতীর মিলিত উগ্র রূপ দেবী চণ্ডী।
মহাষষ্ঠীতে হয় বোধন। মানে দেবীকে আবাহন করা হয়। পূজার্চনাস্থলে তাঁকে জাগ্রত করা হয়। স্বর্গ থেকে তাঁকে বোধন করা হয় মর্ত্যে। স্থাপন করা হয় বিল্ব শাখা। এখানেই অধিষ্ঠান করেন দেবী। বলা হয় বিল্বপত্রতে অধিষ্ঠাত্রী দেবী শিবা। এই দিনে করা হয় বোধন তারপর তিরকাঠি-সুতো দিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে জানানো হয় আমন্ত্রণ। এই আমন্ত্রণ প্রক্রিয়া ‘অধিবাস’। মণ্ডপের কোণে স্থাপন করা হয় জলপূর্ণঘট, তাম্রপাত্র। দেবীর কাছে প্রার্থনা জানানো হয়, যেন কোনও বিঘ্ন না ঘটে পুজোর সময়।
মহা ষষ্ঠীর দিন দেবী চণ্ডীর আরাধনা করা হয়। করা হয় চণ্ডীপাঠ। এই দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় দেবী’র আরাধনা। চলে মহা দশমী পর্যন্ত। উলেক্ষ্য, প্রতিপদ থেকে মহানবমী পর্যন্ত একএক দিনে অনেক জায়গায় দেবী দুর্গা’র ৯টি রূপের উপাসনা করা হয়। সমস্ত রূপকে একত্রে বলা হয় ‘নবদুর্গা’।