এই মুহূর্তে




পুজোর থালায় ‘সুখা মাটন’ এর জাদু! হেঁশেলে থাকুক দক্ষিণী রাজপরিবারের ছোঁয়া




নিজস্ব প্রতিনিধি : পুজো আসতে আর কদিন বাকি ! দিন গুনতে গুনতে অবশেষে পুজো চলেই এল। ভোজনরসিক বাঙালির কচি পাঁঠা না হলে চলে। স্বাদে চাই নতুনত্ব। তবে কচি পাঁঠার ঝোলও নয়, কষাও নয়, হেঁশেলে আনুন দক্ষিণী রাজপরিবারের ছোঁয়া। পাঠার এই ভিন্ন রেসিপিটি হল- সুখা মাটন। এটি হল তামিলনাড়ুর চেট্টিনাড়ের ঐতিহ্যবাহী পদ।সেখানকার রাজপরিবারে মাটন ‘সুক্কা’ বা মাটন ‘চুক্কা’ নামে পরিচিত এই পদ। বাংলার হেঁশেলে তারই নাম হল সুখা মাটন। দুপুরে লাঞ্চের পাতে হোক বা ডিনারে ভুরিভোজ হবে জমিয়ে। এটি রুটি, পরোটা বা ভাতের সঙ্গে খেতে পারেন। গন্ধে হবে ভরপুর হবে হেঁশেল থেকে পাড়া। শিখে নিন সুস্বাদু এই রেসিপিটি।

উপকরণ : পাঁঠার মাংস ৫০০ গ্রাম, ৪ টে গোটা পেঁয়াজ কুচোনো, ৪ চামচ নারকেল কোরা, ঘি, ধনেপাতা কুচি ২ কাপ, ২ চামচ আদা বাটা, রসুনের পেস্ট ও কোয়া, কাঁচা লঙ্কা, হলুদ গুঁড়ো, লাল লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, গোটা গরমমশলার মধ্যে ১টি তেজপাতা, ৪-৬টি লবঙ্গ, ৩টি ছোট এলাচ, ১টি মাঝারি দারচিনি, গরমমশলা গুঁড়ো ১ চামচ, গোটা জিরে, গোটা ধনে, গোটা গোলমরিচ, শুকনো লঙ্কা ও লবন

প্রণালী :  প্রথমে পাঁঠার মাংস ভাল করে ধুয়ে সেদ্ধ করে রাখুন। মাংসের ছোট ছোট টুকরো করলে বেশি ভাল হবে। এবার শুকনো খোলায় গোটা জিরে, গোটা ধনে, গোটা গোলমরিচ ও ২টি শুকনো লঙ্কা দিয়ে ভাল করে নেড়ে নিন।এই গোটা মশলা মিক্সিতে গুঁড়ো করে রাখুন।

এবার কড়াইতে তেল গরম করে তাতে শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা, দারচিনি, লবঙ্গ, ছোট এলাচ ফোড়ন দিন। সুন্দর গন্ধ বেরোলে তাতে কুচিয়ে রাখা পেঁয়াজের অর্ধেকটা, আদা ও রসুন কুচি দিয়ে নাড়তে থাকুন। পেঁয়াজে বাদামি রং ধরতে শুরু করলে নারকেল কোরা দিয়ে আরও ২-৩ মিনিট নেড়ে নিন। এবার তাতে হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো ও স্বাদমতো লবন দিয়ে নাড়তে থাকুন।

মশলা ধোয়া জল দিয়ে কিছু ক্ষণ ঢেকে রেখে ফুটতে দিন। মশলা কষে গেলে এবার তাতে সেদ্ধ করে রাখা পাঁঠার মাংসের টুকরোগুলি দিয়ে কষাতে থাকুন।

ভাল করে নেড়েচেড়ে কষিয়ে নিন। এবার অন্য একটি সসপ্যানে এক চামচ ঘি গরম করে তাতে বাকি পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাল করে নাড়ুন। পেঁয়াজ বাদামি হয়ে গেলে তা ঢেলে দিন মাংসের উপরে। ভাল করে কষান, যত ক্ষণ না জল টেনে যাচ্ছে।এই পদ শুকনো শুকনো হবে।

মাংস মাখো মাখো হয়ে গলে আরও কয়েক মিনিট রেখে একটু ভাজা ভাজা করে নিন। ভাজা ভাজা হয়ে গেলে উপর থেকে গরমমশলার গুঁড়ো ও ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। ব্যস রেডি কচি পাঁঠার ‘সুখা মাটন’। এবার গরম গরম পরিবেশন করুন। এটি ভাত অথবা পরোটা বা নানের সঙ্গেও খেতে পারেন। খেতে খুব সুস্বাদু হয়।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বারাসতের দক্ষিণপাড়ায় ৪৫৪ বছরের শিবের কোঠার দুর্গাপুজো সংকল্পিত হয় যোধাবাঈয়ের নামে

পুজো মানেই ছোট্ট টিপ, হালকা লিপস্টিক আর শাড়ি: মধুমিতা সরকার

কোল্ড ড্রিঙ্কস অমলেট! পুজোর কলকাতা মাতাচ্ছে নতুন স্ট্রীট ফুড

পুজোর আগেই জেনে নিন দশমীর দিন কেন প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় ?

পুজোয় ঠাকুরবাড়ির স্বাদে চিড়ের খিচুড়ি! জেনে নিন সহজ পদ্ধতি

মন ভাল নেই, জাঁকজমকভাবে হচ্ছে না বাড়ির পুজো, হঠাৎ কী হল সুদীপার?

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর