নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বিধি-নিষেধেও খুব একটা সুফল না মেলায় সোমবার থেকেই দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস ও শিল্পসংস্থায় ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ শুরু হলো। মূলত যাঁরা অসুস্থ ও সন্তান সম্ভবা তাঁদের বাড়ি থেকে কাজের (ওয়ার্ক ফ্রম হোম) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এদিন থেকে মাস্ক না পরার অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা আদায় শুরু হয়েছে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘দেশে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে। রবিবার শনাক্তের হার ৩১ শতাংশের কাছাকাছি ছিল। চট্টগ্রাম, বাগেরহাট সহ একাধিক জেলায় সংক্রমণ ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। কোথাও-কোথা-ও ৫০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে সংক্রমণের হার। যেহেতু মারণ ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যে রয়েছি, তাই প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে যে নির্দেশনা ছিল, সেগুলি ফের কার্কর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকেই ৫০ শতাংশ জনবল বা লোক নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি অফিস ও শিল্পসংস্থায় কাজ চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ভার্চুয়ালি অফিস চালানো হবে।’ সরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চালানোর ফলে অসুবিধা হবে কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘গত বছর এর চেয়েও কম কর্মী নিয়ে সরকারি অফিস চালানো হয়েছে। ফলে কোনও সমস্যা হবে না।’
গত ১৩ জানুয়ারি থেকে জারি হওয়া বিধি-নিষেধে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হলেও এখনও সেই নির্দেশ পুরোপুরি মেনে চলছেন না সাধারণ মানুষ। ফলে বাধ্য হয়েই মাস্ক না পরার ক্ষেত্রে জরিমানা আদায় চালু হয়েছে। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী বলেন, ‘মাস্ক ছাড়া বের হলে এখন থেকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করা হবে।’