নিজস্ব প্রতিনিধি: অস্বস্তি কাটিয়ে ফের ফিরল স্বস্তি। ফের করোনায় মৃত্যুহীন বাংলা। দৈনিক মৃত্যুর পাশাপাশি দৈনিক সংক্রমণও স্বস্তি দিয়ে চলেছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন মাত্র ৫০ জন। শুধু তাই নয়, সংক্রমণের হার অর্থাৎ পজিটিভিটি রেটও কমে দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশে। অর্থাৎ প্রতি তিনজনের নমুনা পরীক্ষায় মাত্র একজনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৯৮ দশমিক ৮৭ শতাংশে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই রাজ্যে করোনার সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। দৈনিক সংক্রমণ যেমন নিম্নমুখী, তেমনই স্বস্তি দিচ্ছে দৈনিক মৃত্যু ও সংক্রমণের হারও। যদিও গতকাল রবিবার টানা চারদিন করোনায় মৃত্যুহীন থাকার পরে ফের মারণ ভাইরাসের ছোবলে দুজনের প্রাণহানি হওয়ায় কিছুটা হলেও অস্বস্তি বিঁধছিল। ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে অবশ্য স্বস্তি ফিরেছে।
এদিন রাতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের তুলনায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কমেছে। একদিনে নতুন করে ১৪ হাজার ১৪ হাজার ১৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশে। যার ফলে নতুন করে ৫০ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হলেন ২০ লাখ ১৫ হাজার ৯১২ জন। নতুন করে প্রাণহানি না হওয়ায় মৃতের সংখ্যা অবশ্য ২১ হাজার ১৮০-তে থমকে রয়েছে।’
স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১১৬ জন। এ নিয়ে করোনাকে জয় করলেন ১৯ লাখ ৯৩ হাজার ১৪৫ জন। সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৯৮ দশমিক ৯৭ শতাংশে। একদিনে অ্যাকটিভ কেস কমেছে ৬৬টি। যার ফলে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫৮৭ জনে।’
গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে ১৮ হাজার ৮৩৩ জনকে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৬ কোটি ৯৭ লাখ ৩৭ হাজার ৯৪২ জন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৫ কোটি ৮৫ লাখ ৫২ হাজার ৩৩৩ জন। আর বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ১১৯ জনকে।