নিজস্ব প্রতিনিধি, পটনা: ফের হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ সেতু। ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে একজনের। আটকে পড়েছেন আরও অনেকে। ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে থাকাদের উদ্ধারে নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে সুপালে। নীতীশ কুমারের রাজ্যে একাধিক নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে পড়ার পিছনে দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছেন বিরোধীরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুপাল জেলার মারিচার কাছে কোশি নদীর উপরে্ব ৯৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণের কাজ চলছিল। প্রায় ৩০ জন শ্রমিক নির্মাণকার্যে জড়িত ছিলেন। শুক্রবার সকাল সাতটা নাগাদ আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সেতুর মাঝের অংশ। ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে যান শ্রমিকরা। বিকট শব্দ শুনে প্রথমে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারাই উদ্ধারকার্যে হাত লাগান। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিক, পুলিশ ও দমকল কর্মীরা। জোর তৎপরতায় শুরু হয়েছে উদ্ধারকার্য। নির্মীয়মাণ সেতুটি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি হচ্ছিল বলে দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন। কিন্তু তাদের অভিযোগে কর্ণপাত করেননি স্থানীয প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
নীতীশ কুমারের রাজত্বে সেতু ভেঙে পড়া ট্র্যাডিশনে পরিণত হয়েছে। কয়েক বছর আগেই ভাগলপুর ও খাগারিয়া জেলার মধ্যে সংযোগকারী সেতুটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল। প্রায় ১,৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। তৎকালীন বিরোধী দল বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে, ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারদের বরাত পাইয়ে দিতে গিয়ে জনগণের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন নীতীশ কুমার। বর্তমানে অবশ্য বিহারে নীতীশের সঙ্গেই জোট বেঁধে সরকার চালাচ্ছে বিজেপি। ফলে এদিনের সেতরু ভাঙা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন পদ্ম শিবিরের নেতারা।