নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোপাল : ডিভোর্স মামলায় জিতে কেউ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। কেই আবার নতুন করে ঘর বাঁধেন। কিন্তু কখনও শুনেছেন, ডিভোর্স মামলায় জয় পেয়ে ঘটা করে তা পালন করা হচ্ছে। তাও আবার একা নন, সমবেত ভাবে। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের ভোপালের। কারও এক দিনের বিয়ের পরই দাম্পত্য সম্পর্কে চিড়। কেউ আবার ৩০ বছর ধরে সংসারের পর দাম্পত্য সম্পর্কে বিচ্ছেদ টেনেছেন। দীর্ঘদিন ধরে চলা বিবাহবিচ্ছেদের মামলা জিতে সেই জয় ‘উদ্যাপন’ করলেন বিবাহবিচ্ছিন্ন এক দল পুরুষ। অভিনব এই বিষয়টি নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে।
একটি অসরকারি সংস্থা ১৮ জনের হয়ে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা লড়ছিল। তারাই জয় ‘উদ্যাপনের’ আয়োজন করেছিল। ভোপালের ওই অসরকারি সংস্থাটির দাবি, মামলা লড়তে লড়তে অর্থনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক এবং মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন ওই ১৮ জন। সংস্থাটির আরও দাবি, এই ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিবাহবিচ্ছিন্ন পুরুষদের মানসিক শক্তি বাড়ানো হয়। ওই অসরকারি সংস্থাটি এক সদস্য বলেন, “আমাদের সংস্থা এই ধরনের পুরুষদের জন্য মামলা লড়ে। গত আড়াই বছর ধরে ১৮ জনের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা লড়েছি। হেল্পলাইনের মাধ্যমে তাঁদের মানসিক জোর বাড়ানোর চেষ্টা করি। আদালতের লড়াই, বিপুল টাকা খোরপোশ ইত্যাদির জন্য আর্থিক, সামাজিক এবং মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন। তাই তাঁদের মনোবল বাড়ানোর জন্যই এই উদ্যোগ।” ওই সংস্থার তরফে আমন্ত্রণপত্রও ছাপানো হয়। সেই আমন্ত্রণপত্র ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে।
বিবাহবিচ্ছিন্ন পুরুষদের জয় নিয়ে যখন ‘উদ্যাপন’ চলছে, এক সংবাদমাধ্যম মহিলা কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ প্রসঙ্গে তাদের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য। কিন্তু কমিশনের সদস্যরা জানিয়ে দেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পরই প্রতিক্রিয়া দেবে কমিশন।