নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: যমুনার জলোচ্ছ্বাসে রাজধানী দিল্লির দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়ছে। লালকেল্লা থেকে রাজঘাট-সব জলের তলায়। তার মধ্যেই শুক্রবার দুপুর তিনটে নাগাদ উত্তর পূর্ব দিল্লির মুকুন্দপুরে জমা জলে সাঁতার কাটতে গিয়ে ডুবে মৃত্যু হল তিন কিশোরের। তাদের সকলেরই বয়স ১২ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। পরে একজন পুলিশ কর্মী জলে ঝাঁপ দিয়ে ওই তিন কিশোরকে উদ্ধার করেন। কিন্তু ততক্ষণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে সাঁতার কাটতে নামা তিন কিশোরই।
গত কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে দিল্লির বন্যা পরিস্থিতির চূড়ান্ত অবনতি ঘটেছে। উত্তর ভারতের বিভিন্ন জায়গায় প্রবল বর্ষণের কারণে যমুনার জলস্তর ২০৮ মিটার ছাড়িয়ে গিয়েছে। যা গত ৪৫ বছরের মধ্যে রেকর্ড। রাজধানীর সিংহভাগ জায়গাই জলের নিচে জলে গিয়েছে। রবিবার পর্যন্ত স্কুল-কলেজ-সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি অফিস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোথাও হাঁটুসমান, আবার কোমর সমান জল জমেছে। একাধিক জায়গায় পানীয় জল ও বিদ্যুৎ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। জলবন্দি মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যেই নেমেছে সেনা ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা।
দিল্লির মেয়র শেলি ওবেরয় জানিয়েছেন, বন্যা পরিস্থিতির অবনতির জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজধানীর সবচেয়ে বড় শ্মশান নিগমবোধ ঘাট। পাশাপাশি গীতা কলোনি, ওয়াজিরাবাদ, সরাই কালে খানে শ্মশান বন্ধ করা হয়েছে। ফলে প্রিয়জনের শেষকৃত্য করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন দিল্লিবাসী। যদিও যে সব শ্মশান খোলা রয়েছে সেখানে শেষকৃত্য সম্পন্ন করার পরামর্শ দিয়েছেন দিল্লির মহানাগরিক।