নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ফের শিরোনামে হিমাচল প্রদেশ। রাজ্যসভা নির্বাচনে ক্রস ভোট দেওয়ার পর ছয় জন কংগ্রেস বিধায়কের সদস্যপদ থেকে খারিজ করে বিধানসভার অধ্যক্ষ। এবার এই সদস্যপদ খারিজ নিয়েই মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ছয়জন বিধায়ক। সেই সকল বিধায়করা হলেন রাজিন্দর রানা, সুধীর শর্মা, ইন্দর দত্ত লখনপাল, দেবিন্দর কুমার ভুতু, রবি ঠাকুর এবং চেতন্য শর্মা।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি হিমাচল প্রদেশে রাজ্যসভা ভোটে কংগ্রেসের ছয় বিধায়ক সুধীর শর্মা, রাজিন্দর রানা, রবীন্দ্র ঠাকুর, দেবিন্দর কুমার ভুট্টো, চৈতন্য শর্মা গারগেট এবং ইন্দার দত্ত লাখানপাল দলীয় নির্দেশ অমান্য করে বিজেপি প্রার্থী হর্ষ মহাজনকে ভোট দেন। তাদের সঙ্গে আরও তিন নির্দল বিধায়কও বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দেন। যার ফলে হেরে যেতে হয় কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে। ওই ক্রস ভোটিংয়ের ফলে সুখবিন্দর সিং সুখুর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিদ্রোহী বিধায়করা রাজ্যের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের ছেলে বিক্রমাদিত্য সিংয়ের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত। তবে বুধবার সকালেই রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন বীরভদ্র পুত্র। যদিও সন্ধ্যায় ইস্তফা প্রত্যাহার করেন তিনি।
বিদ্রোহী ছয় বিধায়কের সদস্যপদ খারিজের দাবি জানিয়ে বুধবারই কংগ্রেস পরিষদীয় দলের তরফে বিধানসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে যুযুধান দুই পক্ষকে নিজের চেম্বারে ডেকে বিশেষ শুনানি করেন অধ্যক্ষ কুলদীপ সিং পাঠানিয়া। যদিও শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখেন তিনি। ফলে খানিকটা হলেও স্বস্তি পেয়েছিলেন ছয় বিধায়ক। তবে ২৭ ফেব্রুয়ারি দলত্যাগ বিরোধী আইনে ছয় বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ করার কথা জানান অধ্যক্ষ। এর ফলে বিধানসভার বর্তমান সদস্য সংখ্যা কমে দাঁড়াল ৬২। আর কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা কমে দাঁড়াল ৩৪।