নিজস্ব প্রতিনিধি : সম্প্রতি বিহারে একের পর এক চুরির ঘটনা সামনে আসছে। কিছুদিন আগে আস্ত একটি স্টিলের ব্রিজ চুরি গিয়েছিল। এবার একটি আস্ত পুকুর বুজিয়ে ফেলার ঘটনা সামনে এল। জানা গিয়েছে, পুকুরটিকে রাতারাতি বুজিয়ে ফেলেছে জমি মাফিয়ারা। প্রশাসনের নাকের ডগায় এই সব ঘটেছে। কিন্তু আধিকারিকরা কিছুই করতে পারেনি।
পুকুর চুরির এই ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের দ্বারভাঙায়।স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, পুকুরটি খুব ভালোভাবেই একটা সময়ে রক্ষণাবেক্ষণ করা হত। কিন্তু এলাকার এক জমি মাফিয়ার পুকুরটির দিকে চোখ যায়। যেহেতু দ্বারভাঙা জেলায় জমির দাম ক্রমশ বাড়ছে, তাই ওই জমি মাফিয়াও পুকুরটিকে বুঝিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, এরপর প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে চলতে থাকে রেইকি। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে সতর্ক করলেও পুলিশ প্রশাসনের কোনও হুঁশ ফেরেনি। শেষ পর্যন্ত রাতের অন্ধকারেই চলতে থাকে পুকুর বোজানোর কাজ।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, পুরো পুকুরটিকে মাটি দিয়ে ভরাট করতে মাত্র ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লেগেছিল। শুধু মাটি ফেলে বুজিয়ে ফেলাই নয়, তারওপর একটি কুড়ে ঘরও তৈরি করে ফেলা হয়। স্থানীয় মহকুমা পুলিশ সুপার অমিত কুমার জানিয়েছেন, পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন ও বেশ কিছু সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করেছে। তবে অভিযুক্ত জমি মাফিয়াকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
কিছুদিন আগে এই একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল বিহারের সাসারাম জেলায়। ৬০ ফুট লম্বা একটি স্টিলের ব্রিজ সম্পূর্ণ উধাও হয়ে যায়। ১৯৭২ সালে নাসরিগঞ্জ পুলিশ থানা এলাকায় আমিয়াওয়ার গ্রামে আরাহ খালের ওপর ওই স্টিল ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে। ব্রিজটির ওপর ছিল ৫০০ টন। সম্প্রতি দেখা যায়, ব্রিজটির কোনও অস্তিত্বই নেই। কিছুদিন আগেই আরও দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা সামনে এসেছে। বেগুসরাইতে রেল ইয়ার্ড থেকে একটি ডিজেল ইঞ্জিন চুরি হয়ে গিয়েছে। রেল ইয়ার্ডের আধিকারিকরা যখন ইঞ্জিনটি সারাইয়ের জন্য আসে, তখন তাঁরা দেখেন, ই়্ঞ্জিনটির একাধিক অংশ চুরি হয়ে গিয়েছে।