নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কথায় আছে, সাফল্যের নেপথ্যে যে কারিগরদের ভূমিকা অবিস্মরণীয় তাঁরাই সদা পশ্চাতে থেকে যান। ভারত চাঁদের মাটি ছুঁয়ে ইতিহাস গড়েছে। সেই গর্বে বুক ফুলে ১০৪ ইঞ্চি হয়েছে ইসরোর বিজ্ঞানীদের। অথচ চন্দ্রযান-৩ এর লঞ্চপ্যাড নির্মাণের সঙ্গে জড়িত এক কর্মী ১৮ মাস বেতন না পেয়ে রাঁচির রাস্তায় বিক্রি করছেন চা-ইডলি। আর এই খবর জানাজানি হতেই তোলপাড় গোটা দেশ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘ দীপককুমার উপরারিয়া রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থা হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন-এ (এইচইসি) কর্মরত ছিলেন। চন্দ্রযান-৩ এর লঞ্চপ্যাড তৈরির দায়িত্ব ছিল এই সংস্থার হাতে। সেই কাজ মিটতেই ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে কর্মচারীদের’।
সংবাদমাধ্যমে দীপককুমার জানিয়েছেন, দীর্ঘ ১৮ মাস তিনি বেতন পাননি। প্রথমে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে সংসার চালালেও পরে ঋণ নেন। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ঋণের বোঝা। অনেকেই এরপর ঋণ দেওয়া বন্ধ করে দেন। দুই মেয়ের স্কুলের ফি পর্যন্ত দিতে পারেননি। চন্দ্রযান-৩ এর লঞ্চপ্যাডের নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত থেকেও কিভাবে তাঁর এই দুর্দশা প্রশ্ন সকলেরই।
মধ্যপ্রদেশের হারদা জেলার বাসিন্দা দীপক। ২০১২ সালে বেসরকারি সংস্থায় কাজ ছেড়ে এইচইসি-তে যোগ দেন। প্রথমে বেতন ছিল ৮,০০০ টাকা। পরে তা বেড়ে হয় ২৫,০০০ টাকা। এই সংস্থায় কাজের সুযোগ পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেছিলেন। ভেবেছিলেন জীবনে বড় কিছু করবেন। অথচ এই সংস্থাই শেষঅবধি তাঁকে রাস্তায় নামিয়েছে। এখনও এইচইসি’র সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন দীপক। ইসরোর আরও একটি লঞ্চপ্যাড তৈরি করছে এইচইসি। তাতে যুক্ত রয়েছেন দীপক। সকালে ইডলি বিক্রি করে দুপুরের দিকে অফিস যান। ফের সন্ধ্যাবেলা ঠেলা নিয়ে বের হয়ে পড়েন পেটের টানে।
দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ উঠছিল, চন্দ্রযান-৩ এর লঞ্চপ্যাড নির্মাতারা একবছরেরও বেশি সময় ধরে বেতন পাচ্ছেনা। এই বিষয়ে কেন্দ্র ও বিরোধীদের দর টানাটানি চলে। যদিও সে অভিযোগ অস্বীকার করে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু দীপককুমার নন এই অভিযোগ তুলেছেন এই সংস্থার আরও ২৮০০ কর্মী।
Meet Deepak Kumar Uprariya who sells Tea & Idli in Ranchi. He is a Technician, who worked for building ISRO’s Chandrayaan-3 launchpad. For the last 18 months, he has not received any salary.
“When I thought I would die of hunger, I opened an Idli shop” (BBC Reports) pic.twitter.com/cHqytJvtfj
— Cow Momma (@Cow__Momma) September 17, 2023