নিজস্ব প্রতিনিধি, জয়পুর: দলের সঙ্গে তাঁর দুরত্ব অনেকটাই বেড়েছে। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের কৌশলে কংগ্রেসে অনেকটাই কোণঠাসা তিনি। ফলে নিজের রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিঁকিয়ে রাখতে কী আজ রবিবার বাবা রাজেশ পাইলটের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে নয়া দল গঠনের ঘোষণা দেবেন শচিন পাইলট?আপাতত সেই প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষায় রাজনৈতিক মহল। দৌসায় রাজেশ পুত্রের কর্মসূচির ওপরে নজর রেখে চলেছে কংগ্রেস ও বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব।
২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে মরুরাজ্যের ক্ষমতা থেকে বিজেপিকে হঠানোর মূল কারিগর ছিলেন শচিন পাইলট। যদিও দল ক্ষমতায় আসার পরে মুখ্যমন্ত্রির কুর্সিতে বসা হয়নি তাঁর। এমনকী ২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অপরাধে উপমুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ হারাতে হয়েছিল। তার পরে বহু বার দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁকে রাজনৈতিক পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়েও কথা রাখেননি। চলতি বছরের শেষের দিকে ফের রাজস্থানের বিধানসভা ভোট। আর ওই ভোটের আগে নিজের শক্তি প্রদর্শনে গত মাসখানেক ধরেই সক্রিয় রাজেশ পুত্র।
ইতিমধ্যেই পূর্বতন বিজেপি সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় নিজের দলের সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছেন শচিন। সেই আন্দোলনে আম আদমি আর কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন। সম্প্রতি মরু রাজ্যের দুই যুযুধান নেতাকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে আর রাহুল গান্ধি। বৈঠকের পরে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল ঘোষণা করেছিলেন, রাজস্থানের ভোটে ঐক্যবদ্ধভাবেই লড়বেন গহলৌত-পাইলট জুটি। কিন্তু ওই বৈঠকের পরে গত কয়েকদিন ধরে শচিনের রাজনৈতিক সক্রিয়তা একাধিক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। সূত্রের খবর, আজ রবিবার বাবার মৃত্যুবার্ষিকীর দিনেই বড় ঘোষণা করতে পারেন শচিন। যদিও কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব পাইলট পুত্রের দল ছাড়া এবং নতুন দল গঠনের সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছে।