নিজস্ব প্রতিনিধি, অমৃতসর: ৩৭ দিন ধরে পঞ্জাব পুলিশের কয়েক হাজার কর্মী-আধিকারিককে চরকি পাক খাইয়ে ছেড়েছিলেন খলিস্তানপন্থী ধর্মগুরু অমৃতপাল সিং। দেশ ছেড়ে পালানোর সুযোগও ছিল তাঁর কাছে। কিন্তু নবপরিণীতা স্ত্রী কিরণদীপের প্রতি ভালবাসার অমোঘ টানেই দেশ ছেড়ে পালাননি দ্বিতীয় ভিন্দ্রানেওয়ালা। রবিবার রাতে এমনই দাবি করেছেন ধৃত শিখ ধর্মগুরুর ঘনিষ্ঠরা।
ব্রিটেনের নাগরিক কিরণদীপ সিংয়ের গত ফেব্রুয়ারিতে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন অমৃতপাল সিং। বিয়ের সাতদিন আগেই লন্ডন থেকে উড়ে পঞ্জাবে এসেছিলেন কিরণদীপ সিং। আগামী জুলাই মাসেই তাঁর ভিসার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। গত মার্চ মাসের ১৮ তারিখ পঞ্জাব পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে অমৃতপাল পালানোর পরেই তাঁর স্ত্রীর দিকে বিশেষ নজর রেখেছিল পঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দারা। এমনকী গত মাসে স্বামীর গতিবিধি জানতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করেন পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। যদিও পলাতক স্বামীর সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই বলে জানিয়েছিলেন কিরণদীপ।
সম্প্রতি অমৃতসর থেকে লন্ডনে উড়ে যাওয়ার মুখেই অমৃতপাল সিংযের স্ত্রীকে আটকে দেয় অভিবাসন দফতর। পুলিশ আধিকারিকরা কিরণদীপকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আপাতত তিনি দেশ ছাড়তে পারবেন না। বিমানবন্দর থেকে অমৃতসরের জাল্লুপুর খেলায় শ্বশুরের ভিটেয় ফেরেন তিনি। অমৃতপালের ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সুবর্ণসুযোগ থাকা সত্বেও পালিয়ে যাননি তিনি। কেননা, বার বার বলেছিলেন, ‘আমি পালিয়ে গেলে পুলিশ কিরণদীপকে দোষী ভাববে। এমনকী গ্রেফতার করবে। স্বামী হিসেবে ধর্মপত্নীকে ওই বিপদের মুখে ফেলতে পারব না।’ উল্লেখ্য, পালিয়ে থাকার ৩৭ দিন বাদে মোগার এক গুরুদ্বারে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন অমৃতপাল সিং।