নিজস্ব প্রতিনিধি, লখনৌ: শিয়রে নির্বাচন, আর তার আগেই উত্তরপ্রদেশের বিজেপিতে পদত্যাগের হিড়িক দেখা দিচ্ছে। রাজনৈতিক মহল মুচকি হেসে বলছে, যোগী রাজ্যে বিজেপির মুষলপর্বের শুরু। গত দু’দিনে পাঁচ মন্ত্রী সহ ছয় জন বিজেপি বিধায়ক দল ছেড়েছেন। সেই তালিকায় আরও একজনের নাম জুড়ল বৃহস্পতিবার সকালে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিজেপি বিধায়ক মুকেশ ভর্মা পদত্যাগ করেছেন। এই নিয়ে দু’দিনে সাত বিধায়ক ইস্তফা দেওয়াতে বেজায় চাপে বিজেপি।
যতই ভোট এগিয়ে আসছে ততই বিজেপি ছাড়ার হিড়িক দেখা দিচ্ছে যোগীর ‘রাম রাজ্যে’। সকলের মুখে একটাই অভিযোগ, দলিত ও পিছিয়ে পড়া সমাজের জন্য কিছুই করেনি যোগী সরকার। এছাড়াও যোগী সরকারের আমলেই কৃষক ও মুসলিমরা সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। তাই বিধানসভা ভোটের আগেই বিজেপি ছেড়ে বিশেষ বার্তা দিলেন বিধায়ক মুকেশ ভর্মা। তিনি বলেছেন, ‘দীর্ঘ পাঁচবছরের যোগী সরকার দলিত, অনগ্রসর জাতি, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের দিকে তাকিয়েও দেখেনি। সবচেয়ে বেশি অবহেলিত এই সম্প্রদায় গুলি। তাই আমি বিজেপির সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করছি। বাবা সাহেব আম্বেদকরের সংবিধানকে বারবার অপমান করেছে বিজেপি। শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থেই কাজ করে বিজেপি।’
উত্তরপ্রদেশের শিখোয়াবাদের বিধানসভা থেকে ভোটে জিতেছিলেন মুকেশ ভর্মা। বুধবার ইস্তফা দিয়েছিলেন মন্ত্রিসভার শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রী এবং অনগ্রসর সম্প্রদায়ের মুখ দারা সিং চৌহান। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোটের মুখে তাঁর ইস্তফা শাসক শিবিরের কাছে যে মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। পদত্যাগের ঢল নামে মঙ্গলবার থেকে। প্রথমে ইস্তফা দেন স্বামী প্রসাদ মৌর্য। যোগ দেন সমাজবাদি পার্টিতে। সপা নেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গে ছবিও তোলেন। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয় সেই ছবি। এই ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতেই ইস্তফা দেন আরও তিন মন্ত্রী। যারা হলেন রোশনলাল বর্মা, বৃজেশ প্রজাপতি, ভগবতী সাগর। এরা সকলেই স্বামী প্রসাদ মৌর্যের অনুগামী বলেই জানা যায়।