নিজস্ব প্রতিনিধি: দীর্ঘদিনের দাম্পত্য জীবনেও মিলছিল না সন্তান সুখ। তার জন্য বহু চিকিৎসক, জ্যোতিষী ঘুরে ওই দম্পতি গিয়েছিলেন এক তান্ত্রিকের কাছে। তাঁর নিদান দিয়েছিলেন এক ভয়ানক কাণ্ডের। সন্তানহীনতা থেকে মুক্তি পেতে ওই ভয়ানক কাণ্ডই ঘটিয়ে বসেন এক প্রৌঢ় দম্পতি। দুই যৌনকর্মীকে খুন করেন সন্তান কামনায়। তবে সন্তান তো দূর অস্ত, আপাতত ওই তান্ত্রিক-সহ দম্পতি এখন হাজতে। ভয়াবহ ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে। পুলিশ একটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। আরেকটির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।
মধ্যপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত ২১ অক্টোবর গোয়ালিয়র পুলিশ একটি মৃতদেহ উদ্ধার করে। সেই মৃতদেহটি ছিল এক যৌনকর্মীর। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ নীরজ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। এরপরই বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা। নীরজের পরিচিত বন্ধু বান্টু ভাদুরিয়া ও তাঁর স্ত্রী মমতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় জানা যায়, ১৮ বছরের দাম্পত্যের পরেও সন্তান হয়নি তাঁদের। তাই মরিয়া চেষ্টায় তাঁরা যান নীরজের পরিচিত এক তান্ত্রিকের কাছে। ওই তান্ত্রিকই নরবলি দেওয়ার নিদান দিয়েছিলেন।
এরপর বন্ধুর উপকার করতে নীরজই তাঁদের বলেন যৌনকর্মীদের বলি দেওয়ার কথা। সেই মতো ওই দম্পতির কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে এক যৌনকর্মীকে জোগাড় করে নীরজ। এরপর তাঁর সঙ্গে যৌনতায় মেতে ওঠে। পরে ওই যৌনকর্মীকে মদ্যপান করিয়ে বেহুঁশ করে গলা টিপে হত্যা করে। কিন্তু দেহ নিয়ে যাওয়ার সময় দেহটি পরে যায়। ফলে ভয়ে সেখান থেকে চম্পট দেয় নীরজ। জেরায় সে আরও জানায়, ওই যৌনকর্মী মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন তাই সেই দেহটি ‘বলি’ হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না বলে জানিয়েছিল তান্ত্রিক। ফলে গত গত ১৪ অক্টোবর আরও এক যৌনকর্মীকে খুন করেছিলেন তিনি। পরে পুলিশ ওই তান্ত্রিক এবং মমতার বোন মীরাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।