নিজস্ব প্রতিনিধি, অমৃতসর: বিজেপির কোনও নেতাকে কোনও অ-বিজেপি সরকার গ্রেফতার করলে পরিণাম কী হতে পারে, সেটা বোঝা গেল শনিবার।
কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই আপ নেতা যশওয়ান্ত সিং গজ্জন মাজরার বাড়িতে ৪০ কোটি জালিয়াতির অভিযোগে তদন্ত চালায়। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা জানিয়েছে, ব্যাঙ্ক অব বরোদার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতেই এই তল্লাশি অভিযান। যদিও এই খবর লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি, ব্যাঙ্ক অব বরোদা কবে এই আপ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ রুজু করে। স্বাভাবিকভাবেই, এই অভিযান নিয়ে নানা প্রান্ত থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার তরফ থেকে এই অভিযানের খবর দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, ’ব্যাঙ্ক অব বরোদার দায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে আপ নেতা যশওয়ান্ত সিং গজ্জন মাজরার বাড়িতে তল্লাশি চলে। তল্লাশি চলে আরও তিনটি জায়গায়। তার মধ্যে রয়েছে আপ নেতার একটি ফার্ম। তল্লাশিতে বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হওয়া নথি খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’
এই তল্লাশি অভিযানকে কেন্দ্র করে সেই বহু চর্চিত প্রশ্নটা আরও একবার উঠে এল। সিবিআইয়ের হঠাৎ মনে পড়ে গেল আপ নেতার সম্পত্তির কথা? এই প্রথম নয়, সাম্প্রতীক অতীতে দেখা গিয়েছে, শাসক দলের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই কোনও না কোনও নেতার পিছনে লেলিয়ে দেওয়া হয় ইডি অথবা সিবিআইকে। যা নিয়ে একাধিকবার অ-বিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা সওয়াল করেছেন। এই খবর যেদিন লেখা হচ্ছে, সেদিন অভিষেক জায়া রুজিরাকে জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি আদালত। এই নির্দেশের পিছনে রয়েছে ইডির তলব।
আরও পড়ুন রুজিরাকে জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানার নির্দেশ দিল দিল্লি আদালত