নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র নেতৃত্ব থাকছে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের হাতেই। তিনিই জোটের চেয়ারপার্সন হচ্ছেন। শনিবার ইন্ডিয়া জোটের ১০ শরিক দলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে জোটের আহ্বায়ক হিসাবে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে কংগ্রেস।
আসন্ন লোকসভা ভোটে আসন সমঝোতা-সহ নানা বিষয়ে আলোচনার জন্য এদিন ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেছিলেন ইন্ডিয়া জোটের শরিক ১০ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। বৈঠকে কংগ্রেসের তরফে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং রাহুল গান্ধি। এছাড়াও অংশ নিয়েছিলেন শরদ পওয়ার, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজা, নীতীশ কুমার, লালুপ্রসাদ যাদব, এম কে স্ট্যালিন। তবে আমন্ত্রণ জানানো হলেও বৈঠকে হাজির ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিবসেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী) প্রধান উদ্ধব ঠাকরে।
বৈঠক শেষে সংযুক্ত জনতা দল নেতা সঞ্জয় ঝা জানান, কংগ্রেসের তরফে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে জোটের আহ্বায়কের দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। যদিও ওই প্রস্তাবে সম্মতি জানাননি জেডিইউ সুপ্রিমো। তিনি জানান, ‘পদের প্রতি তাঁর কোনও মোহ নেই। বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে হঠানোই প্রধান লক্ষ্য।’ এর পরেই নীতীশ প্রস্তাব রাখেন, ‘ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব দিক কংগ্রেস। জোটের চেয়ারপার্সন হোন কংগ্রেস সভাপতি।’ বৈঠকে উপস্থিত বাকিরাও তাতে সহমত পোষণ করেন। এদিনের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-উদ্ধব ঠাকরেদের গরহাজির থাকা নিয়েও উষ্মাপ্রকাশ করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জোটের বৈঠকে বড় দলগুলির শীর্ষ নেতৃত্বের গরহাজিরা দেশের মানুষের কাছে ভালো কোনও বার্তা পৌঁছে দেবে না।’
উল্লেখ্য, রাজধানীতে ইন্ডিয়া জোটের সর্বশেষ বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে তুলে ধরার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেই প্রস্তাব সমর্থন জানিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে শুরু করে জোটের একাধিক শরিক দলের নেতা। যদিও প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব সবিনয়ে প্রত্যাখান করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি। তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘আগে ভোটে বিজেপিকে হারিয়ে ক্ষমতায় ফেরার পরেই প্রধানমন্ত্রী ঠিক করা হবে।’