নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বন্ধুর নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হল দিল্লি সরকারের মহিলা ও শিশু উন্নয়ন বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাকে। সোমবার বিকেল ৫টার মধ্যে এই ঘটনায় মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাঁকে গ্রেফতার করতে দিল্লি পুলিশের টিম তাঁর বাড়িতে পৌঁছেছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ জানিয়েছে, ” এই আধিকারিক একটি ঘৃণ্যতম কাজ করেছেন। তার স্ত্রীও অপরাধের সাথে জড়িত ছিল। এটি এমন একটি ঘটনা যা সমাজকে নাড়া দিয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। মুখ্যমন্ত্রী ওই অফিসারকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। বিকেল ৫টার মধ্যে মুখ্য সচিবের কাছ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। অফিসারকে গ্রেপ্তার করতে দিল্লি পুলিশের ব্যর্থতা এই মামলার সবচেয়ে নেতিবাচক অংশ। প্রত্যেকেরই মেয়ে আছে এবং এই ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক। অফিসারকে কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত।”
প্রসঙ্গত, নাবালিকা দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। ২০২০ সালে সে বাবাকে হারিয়েছিল। বাবার মৃত্যুর পর অভিযুক্তেরা তাঁকে বাড়িতে নিয়ে এসে রেখেছিল। অভিযোগ, ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে অভিযুক্ত তাঁকে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করেছিলেন। কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়লে অভিযুক্তের স্ত্রীর কাছে বিষয়টি জানায়। ওই কর্মকর্তার স্ত্রী তাদের ছেলেকে গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়াতে বলেছিলেন। বাড়িতে গর্ভপাত করা হয়েছিল বলে নাবালিকা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেল।