নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: জল্পনাই সত্যি হল। দিল্লি আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় বৃহস্পতিবার রাতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করল ইডি। টানা নয়বার সমন পাঠানো সত্বেও হাজিরা না দেওয়ায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন। রক্ষাকবচ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে ধাক্কা খাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই গ্রেফতার হলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, এর আগে আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিসোদিয়া ও আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহ। দলের সুপ্রিমো গ্রেফতার হওয়ার পরে আপের তরফে আতিশী জানিয়েছেন, কেজরিওয়ালই মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন।
দিল্লি আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় এদিন জেরার জন্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে তলব করেছিল ইডি। সেই তলবে অবশ্য সাড়া দেননি কেজরিওয়াল। বরং ইডির গ্রেফতারির হাত থেকে রক্ষাকবচ চেয়ে এদিন সকালে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। যদিও তাতে লাভ হয়নি। আপ সুপ্রিমোকে রক্ষাকবচ দিতে রাজি হননি বিচারপতিরা। দিল্লি হাইকোর্ট রক্ষাকবচের আর্জিতে সাড়া না দেওয়ায় শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। জরুরি শুনানির আর্জিও জানিয়েছিলেন।
তবে দিল্লি হাইকোর্টে রক্ষাকবচ না মেলায় দেরি না করে সন্ধ্যায় কেজরির বাড়িতে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা। বাসভবনের চারিদিকে নিরাপত্তার দুর্ভেদ্য বলয় গড়ে তোলা হয়। দিল্লি পুলিশের পাশাপাশি নামানো হয় র্যাফ। জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি দিল্লি আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি নিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে টানা জেরা করতে থাকেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। দলের সুপ্রিমোর বাড়িতে ইডির হানার খবর পেয়েই কেজরির বাসভবনের সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেন আপ কর্মী-সমর্থকরা। এমনকি বিক্ষোভও দেখান তারা। ১৪৪ ধারা অমান্য করে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য আপ কর্মী-সমর্থকদের আটকও করতে শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। এদিন রাতে সুপ্রিম কোর্টে জরুরি শুনানির সম্ভাবনা খারিজ হওয়ার পরে দেরি না করে রাত নয়টা পাঁচ মিনিট নাগাদ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেন ইডির আধিকারিকরা।